1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
পঞ্চগড়ের বোদায় শিক্ষা বিষয়ক গ্লোবাল অ্যাকশন সপ্তাহ পালিত গাইবান্ধায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের ৩ ঘন্টা পর উদ্ধার গ্রেফতার ১ বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নিরাপদে থাকবে সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা দীর্ঘ সংগ্রাম আর রক্তের বিনিময়ে আমরা ডাইনি হাসিনা থেকে রেহাই পেয়েছি ……ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁওয়ে নদীর জমি থেকে বসতভিটা সরিয়ে নিতে ৩৪ জনকে নোটিশ পীরগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাছ কাটার ঘটনায় থানায় অভিযোগ পীরগঞ্জে ভূয়া এতিম দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ দিল্লি আর আওয়ামী দোসরদের দৌরাত্ম্য চলবে না – রাশেদ প্রধান আক্কাসের পালিত কিশোর গ্যাংয়ের হামলা: ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবুলের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট, ২ জন আটক আমরা আরেকটা গাজায় পরিণত হতে চাইনা// সংষ্কার কি? আমি বুঝিনা, নির্বাচনের সঠিক রোডম্যাপ দেন …………………..ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পঞ্চগড়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান দিবস পালন

ঠাকুরগাঁওয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে চা-চাষ,আনাচে-কানাচে গড়ে উঠছে বাগান

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১২৫০ বার পড়া হয়েছে

 

আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও থেকে।। চা চাষে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঞ্চল পঞ্চগড়ের পর এখন পার্শ্ববতী জেলা ঠাকুরগাঁওয়েও অসংখ্য চায়ের বাগান গড়ে উঠেছে। চা শিল্পের অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে সীমান্ত ঘেঁষে গড়ে ওঠা দিগন্তবিস্তৃত এসব বাগানে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চায়ের আবাদ শুরু হয়েছে এখন জেলার প্রতিটি উপজেলার গ্রামে গ্রামেও।

জেলা ঘুরে দেখা মেলে, সমতলভূমিতে গড়ে তোলা ছোট-বড় অসংখ্য চা বাগান। বসতবাড়ির পেছনের জমিতে, বাড়ির আঙিনার আশপাশে, রাস্তার ধারে— আনাচকানাচের বিভিন্ন জমিতে এখন চা গাছের সবুজ রংয়ের সমারহে ভরপুর হয়ে উঠেছে। এতে চা শিল্পে সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছেন জেলার চাষিরা।

একসময় যে জমিতে আগাছা ছাড়া কোনো ফসল হত না সেই জমিতে এখন চা গাছের সমারোহ। নদীর ধারে যেসব জমি শুধু গোচারণ ভূমি হিসেবে পড়ে থাকতো, সেই দিগন্তবিস্তৃত জমিও চা চাষে সবুজের লীলাভূমিতে ভরপুর হয়ে উঠেছে। জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর দিগন্তবিস্তৃত চা-বাগান ছাড়াও দেখা গেছে, যে যেখানে সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেই চায়ের গাছ লাগিয়েছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় চাষিরা চায়ে লাভবান হওয়ায় দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে চায়ের চাষ। এতে চা অর্থকারি ফসল হিসেবে বেশ পরিচিতি পেয়েছে জেলায়। আর এসব বাগানে কাজ করে স্থানীয় অনেক বেকার মানুষেরও কর্মসংস্থান হয়েছে।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে জরিপ চালায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং চা গবেষণা ইনস্টিটিউট। ২০০০ সালের দিকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু হয়। পরে ২০০৭ সালে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় প্রথম চা চাষ শুরু হয়। এখন জেলার প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামে চা চাষ হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম এর তথ্যমতে, জেলায় মোট ১৪৫৭ একর জমিতে চা চাষ করা হয়েছে চায়ের বাগান। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৫৬ একর ৯৩ পয়েন্ট জমিতে ছোট-বড় মিলে ৯৩টি চা বাগান রয়েছে। পীরগঞ্জ উপজেলায় ৬ একর জমিতে ১টি, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১১শ একর ৭৫ পয়েন্ট জমিতে ছোট বড় মোট ১০০টি, রাণীশংকৈল উপজেলায় ৯ একর জমিতে ৪টি ও হরিপুর উপজেলায় ১০ একর জমিতে ৩টি চা বাগান রয়েছে।

সব থেকে বেশি চা চাষ করা হয়েছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়। এ উপজেলায় ১১ শ ৭৫ পয়েন্ট জমিতে চা চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে রনবাগ ও বেউরঝাড়ী সীমান্ত ফাঁড়ীর কাছে অবস্থিত দুমুখা এবং কলশির মুখে ইসলাম টি এস্টেট নামে মোট ৩টি বাগানে ১৩৩ একর জমিতে চা চাষ করা হয়েছে। এসব বাগানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং