পঞ্চগড় প্রতিনিধি।। „পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জাতীয় মহিলা সংস্থার অধীনে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে ১৫ লাখ টাকার চেক ও সনদ প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের পিঠা নকশি কাঁথা ক্যাটারিং খাদ্যের প্রদর্শনী করা হয়। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তেঁতুলিয়া সরকারী অডিটরিয়ামে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক আজাদ জাহান একশত পঞ্চাশ জন নারীর মাঝে এসব চেক ও সনদপত্র তুলে দেন। এ সময় পঞ্চগড় জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মুনিরা পারভিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বী , তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, তেঁতুলিয়ার প্রশিক্ষন কর্মকর্তা অমৃত কুমারসহ সংশ্লিস্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপলক্ষে নারী উদ্যেক্তা এবং প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত প্রায় তিন শতাধিক নারীদের নিয়ে সমাবেশ করা হয়েছে। সমাবেশে মুনিরা পারভিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপ পরিচালক আজাদ জাহান বিশেষ অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বী , তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান, তেঁতুলিয়া মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অমিত কুমার বক্তব্য প্রদান করেন।
উপজেলা জাতীয় মহিলা সংস্থা সুত্রে জানা গেছে তৃনমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যেক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের মাধ্যমে তেঁতুলিয়া উপজেলার দেড়শ নারীকে ৮০ দিন প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। চারটি ট্রেড বিউটিফিকেশন, ক্যাটারিং, ফ্যাশন ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন এন্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট আলাাদাভাবে প্রশিক্ষকরা তাদের প্রশিক্ষন কেন্দ্রে প্রশিক্ষন দেন। প্রশিক্ষন প্রাপ্ত হয়ে তারা এখন সমাজে আয় করছেন। প্রশিক্ষন নিয়ে নারীরা আজ আলাদা ভাবে পিঠা, নকশিকাথা,ক্যাটারিং ফুড নিয়ে অডিটরিয়ামে প্রদর্শনীও করেছেন।
সমাবেশের সভাপতি মুনিরা পারভিন জানান, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। মহিলা সংস্থার মাধ্যমে নারীরা প্রশিক্ষন নিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এক সময় নারীদের অবহেলা করে কর্মক্ষমতা থাকা সত্তেও তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি । প্রধানমন্ত্রী সব সময় নারীর ক্ষমতায়ন করতে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষন দেওয়ার কারনে এখন বেকারত্ব কমছে।
প্রধান অতিথি আজাদ জাহান তার বক্তব্যে নারীদের উদ্দেশ্যে বলেন প্রশিক্ষন নিয়ে ঘরে বসে থাকলে চলবেনা। নিজে প্রশিক্ষিত হয়ে সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলতে হবে। কারন নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই। ডিসি এসপি সহ দেশের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরে নারীরা যোগ্যতার মাধ্যমে আসীন হয়েছে।