মদের বিল চাওয়ায় বারে ভাঙচুর ছাত্রলীগ নেতাদের

রাজধানীর মহাখালীর একটি বারে মদপান করার পর বিল না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, বিল চাওয়ায় তারা বারে ভাঙচুর করেন এবং ১২০ বোতল মদ লুট করে নিয়ে যান।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে মহাখালীর জাকারিয়া বারে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় বার কর্তৃপক্ষ একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি বনানী থানা পুলিশ তদন্ত করছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার এজাহারনামীয় আসামি পাঁচ জন ও অজ্ঞাত আসামি ৫০ জন। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, বারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বনানী থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি বনানী থানা পুলিশ তদন্ত করছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন :লাইসেন্স নিয়ে মদ পান করছেন কারা, হচ্ছে তালিকা
এদিকে বার কর্তৃপক্ষের অভিযোগ করেছে, শনিবার রাতে সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন এবং সাধারণ সম্পাদক জুয়েলের অনুসারীরা বারে মদপান করতে যান। মদপান শেষে তাদের কাছে বিল চাওয়া হলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে বারের লোকজনের ওপর হামলা করেন। হামলাকারীরা হলে ফোন দিয়ে শতাধিক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে বারে নিয়ে আসেন এবং ভাঙচুর করেন। এসময় তারা ৪০ বোতল ফরেন হুইস্কি, ৮০ বোতল দেশি কেরু ও নগদ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, হামলার ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান সাগর। এছাড়া হামলার সময় সহ সভাপতি লোকমান হোসেন রাহুল, সুলতান ও শাওন, সহ সম্পাদক শাওন ও সাব্বির, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নিলয় সেন, উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মামুন এবং কর্মী কাউসার ও শাহিন মাতব্বরসহ বেশ কয়েকজন বারে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাখালীর জাকারিয়া বারে ভাঙচুর ও লুটের ঘটনার মামলাটি আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। বার ও আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ শেষে আমরা দ্রুতই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করব।