1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ভোট চুরিতে জড়িত কর্মকর্তারা এখনো বহাল, এদের সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয় : মাওলানা ইকবাল হোসাইন প্রকাশ পেল প্রিয়া অনন্যা ও নিলয়ের ‘তুমি আমি রাজি’ রুহিয়া থানা প্রেসক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত আনিস কে বিয়ে করতে দিলো না পুলিশ দীর্ঘ ১৬ বছর পর তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন।।  রঞ্জু সভাপতি শাহীন সম্পাদক নির্বাচিত ঘোড়ার ঘূর্ণি প্রশ্ন //  সাইফুল ইসলাম সরকার পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবকে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট : থানায় তিন সাংবাদিকের এজাহার ঠাকুরগাঁওয়ে জাকজমক আয়োজনে টি ২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু ভবানীগঞ্জ সরকারি কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধানের বিদায় ও সংবর্ধনা  জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের মানোন্নয়ন লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা

হাসপাতাল থেকে বাড়ি নেয়ার পথে বৃদ্ধ বাবাকে রাস্তায় ফেলে যান ছেলেরা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক।। অসহায় পঙ্গু বাবাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি নেওয়ার পথে গাড়ি থেকে নামিয়ে মহাসড়কের পাশে হুইল চেয়ারে বসিয়ে ফেলে রেখে চলে যান ছেলেরা। ১০ দিন পার হয়ে গেলেও তার ৪ সন্তানের কেউই নিতে আসেনি তাকে। রোদ, বৃষ্টি, ধুলাবালি আর রাতের মৃদু কুয়াশার মধ্যেই গত ১০ দিন ধরে মহাসড়কের পাশেই পড়েছিলেন অসহায় ওই বাবা।

পরে কেউ একজন ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করলে নজরে পড়ে জাপান প্রবাসী কুমিল্লার যুবক কেএম আমির হোসেনের। রোববার (১৫ অক্টোবর) তিনি বিষয়টি জানার পর লোক পাঠিয়ে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। জাপান প্রবাসী কেএম আমির হোসেন ওই বৃদ্ধের যাবতীয় চিকিৎসা খরচ দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, গত ৫ অক্টোবর রাত থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বড় গোবিন্দপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ১০ দিন ধরে ওই বৃদ্ধ পড়েছিলেন। প্যারালাইসের কারণে তিনি হাঁটাচলা করতে পারেন না। অস্পষ্ট ভাষায় শুধু জানান, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। তার নাম সাত্তার। তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে তার। বড় ছেলে হারুন, মেজো ছেলে মঈন, ছোট ছেলে জসিম। তবে বৃদ্ধের ছেলেদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বৃদ্ধ সাত্তার বলেন, আমার ছেলেরা ঢাকার একটি হাসপাতালে আমাকে চিকিৎসা করায়। চিকিৎসা শেষ করে বাড়ি যাওয়ার পথে এখানে (চান্দিনার বড় গোবিন্দপুর বাসস্ট্যান্ড) নামায় দেয়। এখানে রেখে বলে পরে নিয়ে যাবে, আমি যেন এখানেই থাকি।

ছেলেরা আসবে এই আশায় গত ১০ দিন ধরে অপেক্ষায় আছেন বৃদ্ধ এই বাবা। কেউ কোনো প্রশ্ন করলে তিনি বলছেন, আমার ছেলেরা আমাকে নিয়ে যাবে। আমাকে এখানে অপেক্ষা করতে বলেছে। আমি এখানেই থাকব। ওরা আসবে। আমাকে নিয়ে যাবে বাড়িতে।

বড় গোবিন্দপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার একাধিক স্থানীয় দোকানদার বলেন, গত ৬ অক্টোবর সকালে বাসস্ট্যান্ডে এসে আমরা দেখি প্রচুর মানুষ ভিড় করেছে। গিয়ে দেখি মাঝখানে হুইল চেয়ারে বসা এক পঙ্গু বৃদ্ধ। সবার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে অঝোরে দুই চোখের পানি ঝরাচ্ছেন। তখন সবার কাছে ঘটনা বললেন যে, আগের রাতে এখানে তার ছেলেরা তাকে নামিয়ে রেখে চলে যায়। বলেছে নিতে আসবে, কিন্তু আসেনি। তারপর থেকে তিনি বেশ কয়েকদিন এই রাস্তার পাশেই পড়ে ছিলেন।

ঘটনার বিষয়ে জাপান প্রবাসী কেএম আমির হোসেন ঢাকা পোস্টকে মোবাইল ফোনে বলেন, একজনের ফেসবুকে পোস্টটি দেখে আমি আমার গ্রামের একজনকে ফোন করে ঘটনাটি জানাই। তাকে বলেছি যত দ্রুত সম্ভব ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে। যত টাকা লাগে সব আমি বহন করব। পরে ওই বৃদ্ধকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। তার খাবার, পরনের জন্য লুঙ্গি, গেঞ্জি, গামছা, সাবানসহ যাবতীয় সবকিছু কিনে দেওয়া হয়েছে। ৪১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি আছেন তিনি। আমার লোক তিনবেলা খাবার দিয়ে আসছে। গোসল করিয়ে খাবার খাইয়ে ওষুধও খাইয়ে দিচ্ছে। আমি ঘোষণা দিয়েছি যতদিন উনার একটা ব্যবস্থা না হবে ততদিন আমি আছি তার পাশে।

চান্দিনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন খান দৈনিক ঝড় কে বলেন, ঘটনাটি একজনের কাছে শোনার পর ওই লোকটির বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং