স্টাফ রিপোর্টার।। পঞ্চগড় সদর উপজেলার আমলাহার ডিগ্রি কলেজে পছন্দের ব্যক্তিকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিতে অভিনব কৌশল অবলম্বন গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য কলেজ পরিচালনা পর্ষদ আবেদন বাছাইয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই দফায় প্রচারিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ১১ জন আবেদন করে। নীতিমালা বহির্ভূতভাবে ৫ জন আবেদনকারীর নাম বাদ দিয়ে ৫ জন প্রক্সি প্রার্থী ও এই কলেজের উপাধ্যক্ষের নাম রাখা হয়েছে। আসলে এই উপাধ্যক্ষকেই অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিতেই এমন করা হয়েছে। এই পাঁচজন প্রক্সি প্রার্থীরা সবাই এলাকার প্রতিষ্ঠিত কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবেই কর্মরত আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর অধ্যক্ষের নিযোগের জন্য প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি বিধি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী শূন্য পদে অধ্যক্ষের আবেদন করতে পারবেন। নিয়ম মেনে পাঁচজন আবেদন করেন। পরে ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে যারা আগে আবেদন করেছেন তাদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই। এতে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা হয় ১১ জন। পরবর্তীতে বাছাই কমিটি নীতিমালা বহির্ভূতভাবে ৫ জনের আবেদন বাতিল করেন। আর যে ৬ জন আবেদনকারীকে রাখা হয় তারা হলেন, জগদল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু তালেব মানিক, বলরামপুর আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা, বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম লিটন, ভজনপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, আমলাহার ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ জ্যোতিষ চন্দ্র রায়। অভিযোগ রয়েছে অত্র কলেজের উপাধ্যক্ষ জ্যোতিষ চন্দ্র রায়কে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেয়ার জন্য কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি তার আপন চাচা নরেশ চন্দ্র রায় এ নীল নকশা একেঁছেন। এছাড়াও জ্যোতিষ চন্দ্র রায়ের নামে দুটি হত্যা মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নরেশ চন্দ্র রায় জানান, অধ্যক্ষ পদে যারা আবেদন করেছে তাদের ৫ জন নীতিমালায় না পড়ায় বাদ দেয়া হয়েছে।
সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা মজুমদার বলেন, ‘‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী অধ্যক্ষ পদে আবেদন করেছি। এখন শুনেছি আমাকে বাছাই কমিটি বাদ দিয়েছেন। দেখি নিয়োগ পরীক্ষা ঘোষণা দেওয়ার পর প্রবেশ পত্র না পেলে আইনের আশ্রয় নেব।’
অধ্যক্ষ পদে আবেদনকারী বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম লিটন জানান, ওরা আবেদন করতে বলেছেন, এজন্য আবেদন করেছি। বুঝেন না এটা একটা সিস্টেম। আমরা হলাম প্রক্সি। অধ্যক্ষ তো ওই কলেজের উপাধ্যক্ষই হবে। তাছাড়া আবেদনকারী আমরা সবাই প্রতিষ্ঠিত কলেজের অধ্যক্ষ। বেতনভাতাও বাড়বে না। সরকারিকরণেরও সুযোগ নেই। এত ভালো কলেজ ছেড়ে কেন একটা গ্রামের কলেজে অধ্যক্ষ হতে যাবো কোন দু:খে।
কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রমো চন্দ্র রায় জানান, বাছাই কমিটি করা হয়েছে, এখনো বাছাই শেষ হয়নি। যদিও বাছাই কমিটির আহবায়ক শফিকুল ইসলাম বাছাইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, ২০২৩ সালের বিএসএস শ্রেনিতে (ডিগ্রি পাশ কোর্স) ভর্তির জন্য ৩৫ জন ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে অর্থ নেয়া হয়। পহেলা অক্টোবর ছিল ভর্তির শেষ তারিখ। কিন্তু কোন ছাত্রছাত্রীর ভর্তি নিশ্চায়ন করতে পারেননি প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি অনিশ্চিতের বিষয়ে ভর্তি কমিটির আহবায়ক আবুল ফজলকে শোকজ করা হয়েছে বলে কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রমো চন্দ্র রায় জানান। ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি অনিশ্চিতের বিষয়টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। #
প্রকাশক/সম্পাদক :- শাওন আমিন।। ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক :- মোঃ গিয়াস উদ্দিন।। নির্বাহী সম্পাদক :- ঝড় আমীন।। প্রধান কার্যালয় :- হালিশহর, চট্রগ্রাম। মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২০৬১১৬৩ ঢাকা কার্যালয়:-বাসা নং ৫১/৩,ধানমন্ডি ৩/এ, ঢাকা।-১২০৯ মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২৪১৫৮৫৩,+৮৮০১৫৮০৮২০৬৬৩,+৮৮০১৭১২০৬১১৬৩
E-mail :- newszhor@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত. বাংলাদেশ হোস্টিং