স্টাফ রিপোর্টারঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা যুবদলের সহসভাপতি সাইদুর রহমান সুমিত ৬ দিন ধরে ঢাকায় ব্যবসায়িক কাজে আছেন। ঢাকায় থাকা অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে রুহিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৯:৪৫ মিনিটে রুহিয়া থানার ঘুরনগাছ চার পুকুরী নাশকতামুলক মামলা করা হয়। ঘটনার দিনই ৩ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় রুহিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতান আহমদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ৪৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ২৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে এলাকায় না থাকা সাইদুর রহমান সুমিতকে।
অপর দিকে ১ নম্বর আসামি মাহাবুবুর রহমানকে তার ঔষধের দোকান ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে বড়দেশ্বরী বাজার থেকে মাগরিবের সময় আটক করে সাদা পোশাকে পুলিশ। কিন্তু তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ঘটনাস্থল রাত ৯:৪৫ মিনিটে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, জামাত বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচী দিনে, জামায়াত বিএনপি নেতা-কর্মীরা সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে দেশীয় অস্ত্রসহ ককটেল নিক্ষেপ এবং বিএনপি, জামায়াতের নেতা কর্মীরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তথ্যাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তি, এক জিয়া লোকান্তরে লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরেসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারপর আটোয়ারী টু রুহিয়া সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিস্ফোরক ঘটায়। স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল গিয়ে ১ নং আসামি মাহাবুবুর রহমানকে আটক করে তাকে জিজ্ঞেসাবাদ করলে অভিযুক্ত ৪৫ জনের নাম উল্লেখ্য করেন।
এদিকে ঘটনাস্থল সরেজমিনে দিয়ে জানা যায়, ঐ সময় এলাকায় কোন প্রকার মিছিল, ককটেল নিক্ষেপের শব্দ এবং কোন গণজমায়েত ছিল না বলে জানান স্থানীয়রা।
ঘটনার সাথে বসবাসকারী আজিজ বলেন গত ২ নভেম্বর রাত সাড়ে এগারোটায় আমার বাড়িতে তমিজ এসে বলে রাস্তায় পুলিশ আছে এবং আগুন জ্বলছে একটি বালতির নিতে বলল পুলিশ। তিনি বলেন তখন একটা বালতি নিয়ে যায় সাথে আমিও ঘটনাস্থল যাই গিয়ে দেখা যায় পুলিশের দুটো পিক-আপ আর অনেক পুলিশ সদস্য এছাড়া কোন সাধারণ মানুষ নেই।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ জব্বার, দোকানদারসহ অনেকে বলেন সেই রাতে এলাকায় কোন প্রকার মিছিল বা শব্দ আমরা শুনতে পাইনি।
তফিজ উদ্দিন মুঠোফোনে জানান আমি উত্তরা থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় চারপুকুরী এলাকায় দেখি দুটো পিক-আপ এবং চারিদিকে অনেক পুলিশ আর ভিতরে জ্বলে আগুন। তিনি বলেন এসময় সাধারণ মানুষের অবস্থান দেখা যায়নি। পরক্ষণেই আমাকে পুলিশ বলে পাশের বাড়ি থেকে একটা বালতি নিয়ে আসো আমি একটা বালতি এনে দেই এবং শেষে আমার কাছে একটা সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়।
এ বিষয় মামলার বাদী এস আই সুলতান আহমদের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন তথ্য দিতে নারাজ।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানার মুঠোফোনে ফোন করলেও অজ্ঞাত কারনে তিনি ফোন ধরেন নি।
প্রকাশক/সম্পাদক :- শাওন আমিন।। ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক :- মোঃ গিয়াস উদ্দিন।। নির্বাহী সম্পাদক :- ঝড় আমীন।। প্রধান কার্যালয় :- হালিশহর, চট্রগ্রাম। মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২০৬১১৬৩ ঢাকা কার্যালয়:-বাসা নং ৫১/৩,ধানমন্ডি ৩/এ, ঢাকা।-১২০৯ মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২৪১৫৮৫৩,+৮৮০১৫৮০৮২০৬৬৩,+৮৮০১৭১২০৬১১৬৩
E-mail :- newszhor@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত. বাংলাদেশ হোস্টিং