1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :

নরসিংদীর বৌয়াকুঁড়ে আবাবীল ইসলামিয়া একাডেমি’র শিক্ষক কর্তৃক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার “আদালতে মামলা “

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক।। নরসিংদী সদর উপজেলার বৌয়াকুঁড় এলাকায় আবাবিল ইসলামীয়া একাডেমী মাদ্রাসার ইউসুফ ( ৬ ) নামের এক শিশু ছাত্রকে মাদ্রাসার শিক্ষক কর্তৃক একাধিকবার বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়। , শিশু ছাত্র ইউসুফ নরসিংদী সদর উপজেলার কালাই গোবিন্দপুর গ্রামের দ্বীন ইসলামের ছেলে , বর্তমানে নরসিংদী সদর বানিয়াছল এলাকার বাসিন্দা।

মাদ্রাসার শিক্ষক ধর্ষক হাকিম ওরফে সফিকুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর থানা চর কামালপুর ঠুলিবাড়ি গ্রামের সামু মাস্টারের ছেলে। বর্তমানে নরসিংদী বৌয়াকুঁড় আবাবীল ইসলামিয়া একাডেমী মাদ্রাসা’র শিক্ষক।

দ্বীন ইসলাম তার শিশু ছেলে ইউসুফ-কে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণের জন্য আবাবিল ইসলামিয়া একাডেমীতে গত ৭ জানুয়ারি ২০২৩ ইং প্রথম শ্রেণীর মক্তব শাখায় অনাবাসিক ছাত্র হিসেবে ভর্তি করান। শিশু শিক্ষার্থী ইউসুফ প্রতিদিন তার মায়ের সাথে মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করত।

লম্পট দুরাচার ধর্ষক হাকিম ওরফে শফিকুল ইসলাম মাদ্রাসা’র মক্তব শাখার শিক্ষক শিশু শিক্ষার্থী ইউসুফকে প্রতিনিয়ত পাঠ দান করতেন। এর-ই ধারাবাহিকতায় মাঝে মাঝে শরীরে জ্বর ব্যথা ও বমি হতো এবং পায়ুপথে রোগাক্রান্তের বিষয়টি তার বাবা-মাকে অবগত করলে তারা বিষয়টি বুঝতে না পেরে , তার চিকিৎসার জন্য চর্ম ও যৌন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। পরে ডাক্তারের নির্দেশনায় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা’র পর ইউসুফে’র পায়ুপথে একাধিক বলৎকারের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানান। ডাক্তারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ইউসুফের বাবা/মা হতবাক হয়ে উঠেন এবং ইউসুফকে বিনয়ের সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইউসুফ জানায় , নরসিংদী’র আবাবীল ইসলামিয়া একাডেমী মাদ্রাসার শিক্ষক , হাকিম ওরফে শফিকুল ইউসুফকে শিক্ষকের রুমে নিয়ে মৃত্যুর ভয় দেখাইয়া তার পরনে থাকা পায়জামা খুলে পিচ্ছিল জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত বলাৎকার করত এবং তার মুখে শিক্ষকের যৌনাঙ্গ ঢুকিয়ে চুষে খাওয়াইতো আর এ থেকে ইউসুফ বমি করত। তারপর শিক্ষক শফিকুল তার শরীরে ও মাথায় বেত্রাঘাত করত এবং তাকে তার চিকিৎসার কথা বলে শরীরে ইনজেকশন পুশ করে জোর পূর্বক বলাৎকার করত। বিষয়টি কাউকে জানালে মাদ্রাসা’র ছাদে থাকা পানিতে চুবিয়ে মেরে ফেলবে ও ছুরি দিয়ে হত্যা করবে মর্মে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ইউসুফ তার বাবা/মাকে বিষয়টি অবগত করালে , মাদ্রাসার প্রিন্সিপালকে তারা বলাৎকারের বিষয়টি জানিয়ে কোন সু-বিচার পায়নি বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে সুষ্ঠু বিচারের প্রত্যাশায় ভিকটিমের বাবা দ্বীন ইসলাম নরসিংদী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে মডেল থানার এস আই ফজলুল হাকিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখ সরেজমিন ঘুরে বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে আসামি কর্তৃক প্রভাবিত হইয়া কোন অভিযোগ গ্রহণ করেন নাই।

এদিকে ভিকটিম ইউসুফ মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে মৃত্যু পথ যাত্রীতে পরিণত হলে তাকে চিকিৎসার সেবায় নিয়োজিত ও আসামি লম্পট দুরাচার ধর্ষক হাকিম ওরফে শফিকুল ইসলামের তথ্য সংগ্রহ করতে এবং গণ্যমান্য লোকজনের সুবিচারের প্রত্যাশায় বিলম্ব হওয়ায় ভিকটিমের বাবা দ্বীন ইসলাম গত ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত নরসিংদীতে নারী ও শিশু নির্যাতন পিটিশন মোকদ্দমা নং ২৬১/ ২০২৩ ইং,
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ৯ (১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ নরপশুকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং