নিজস্ব প্রতিবেদক।। বান্দরবানে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গাছ ও পাহাড় কেটে কটেজ নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও লামা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বাথোয়াই চিং মারমার বিরুদ্ধে। জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং প্রশাসনের কোনো অনুমতি ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে গাছ ও পাহাড় কেটে রাস্তা ও কটেজ নির্মাণ করছেন তিনি।
সরেজমিন দেখা গেছে, লামা-ফাইতং সড়কের বদরটিলা পাহাড়ের ওপর কটেজ নির্মাণের জন্য গাছ কেটে ইতোমধ্যে সাবাড় করার পাশাপাশি এসকেভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে সমতল করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে বাঁশের ঘর। পাহাড়ের বুক চিড়ে তৈরি করা হয়েছে রাস্তা। এদিকে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে না আইনি ব্যবস্থা। ফলে চেয়ারম্যান বীরদর্পে কটেজ নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, লামা-ফাইতং সড়কের ৮ কিলোমিটার নামক স্থানে সড়ক ঘেঁষে বদর টিলা নামক পাহাড়টির গাছপালা এরই মধ্যে কেটে ফেলা হয়েছে। এখন মাটি কেটে সমতলে পরিণত করতে প্রতিদিন এক্সকাভেটর ব্যবহারসহ ৮-৯ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক জানান, বাথোয়াই চিং মারমার নির্দেশে প্রতিদিন তাঁরা ৬০০ টাকা হাজিরায় কাজ করছেন। পাহাড় কেটে সেখানে কটেজ নির্মাণ করা হবে।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ২০১০ অনুযায়ী, পাহাড় কাটা আমলযোগ্য অপরাধ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যক্তি পাহাড় কাটতে বা নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না। যদি কেউ এই আইন অমান্য করে, তবে তাকে অথবা ওই প্রতিষ্ঠানকে দুই বছর কারাদণ্ড অথবা ২ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। আবার একই অপরাধ করলে, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১০ বছর কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়েছিল। পরে মাটি কাটার যন্ত্র নষ্ট করা হয়। ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। আবার অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি।
বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ফখর উদ্দিন বলেন, ‘সরেজমিনে পাহাড় কাটার প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
পাহাড় কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে বাথোয়াই চিং বলেন, ‘ঝোপঝাড়, উঁচু-নিচু জায়গা কেটে সমতল করা হয়েছে। কয়েক দশক আগে সেখানে রাস্তা ছিল।’ কয়েক দিন আগে ইউএনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান তিনি।
#chtshowcase
#cht
প্রকাশক/সম্পাদক :- শাওন আমিন।। ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক :- মোঃ গিয়াস উদ্দিন।। নির্বাহী সম্পাদক :- ঝড় আমীন।। প্রধান কার্যালয় :- হালিশহর, চট্রগ্রাম। মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২০৬১১৬৩ ঢাকা কার্যালয়:-বাসা নং ৫১/৩,ধানমন্ডি ৩/এ, ঢাকা।-১২০৯ মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২৪১৫৮৫৩,+৮৮০১৫৮০৮২০৬৬৩,+৮৮০১৭১২০৬১১৬৩
E-mail :- newszhor@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত. বাংলাদেশ হোস্টিং