ফজলার রহমান গাইবান্ধা থেকে ঃগাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে অবৈধভাবে নদী থেকে মাটি উত্তোলন, প্রশাসন নিরব!
উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে গনেশপুর শুকুনার ঘাট মৎস্য নদী ও নদী ঘেঁষে জমি থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে দীর্ঘ দিন হতে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
ফলে নদীর নিকটবর্তী রাস্তাঘাট এবং ফসলি জমি ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। আর এ অবৈধ ব্যবসাটি স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি গোচর করতে সংবাদ কর্মীরা পূর্বেও একাধিক বার সংবাদ প্রচার করেও কোন এক অদৃশ্য কারণে নিরব থাকে সবসময়।
এদিকে দ্রুত নদী থেকে মাটি কাটা এবং বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি করেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুকুনার ঘাট হতে বালু মাটি বহন কারি ট্রাক্টর (কাকরা) কাশিয়াবাড়ি বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতোয়া বাঁধের উপর দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই মাটি সরবরাহ করা হয়। এলাকা বাসির অভিযোগ মিলন মিয়া,আলম মিয়া,হিরু মিয়া,ফনিক ও রাখু নামীয় স্থানীয় প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন ধরে নদী ও নদী ঘেঁষা জমি থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছেন।
এতে করে ফসলি জমির ব্যপক ক্ষতির পাশাপাশি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর দিয়ে চলা দানব ট্রাক্টরের করনে বাঁধটি ধ্বংসের দারপ্রান্তে হওয়ায় বাঁধ নিকটবর্তী বসতবাড়ি হুমকির মুখে এবং বাঁধ ঘেঁষা গনেসপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়টিও হুমকির মধ্যে পরায় স্থানীয় ভুক্তভোগীরা মনে করেন প্রসাশনিক উর্ধতন কর্মকর্তাগন সরেজমিনে এসে বাস্তবতা দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। বাঁধ নিকটবর্তী বাসিন্দা মেহেদি মিরাজ বলেন ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহনের কারণে রাস্তার অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়েছে যে, জনসাধারণ তথা যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে রাস্তার ওপর পড়ে থাকা কাঁদা মাটি এবং ধুলো বালিসহ ট্রাক্টেরর (কাকরা) কালো ধোঁয়ার কারণে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। এলাকাবাসীর বাঁধা উপেক্ষা করে প্রভাবশালীরা কোন বাঁধাই মানছে না। এ অবৈধ কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী তাদের শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন অবৈধ বালু মাটি উত্তোলন ও নদী নিকটবর্তী খাস জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধ না হলে বহু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পাশাপাশি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পাশ্ববর্তী ঘরবাড়ি বসতি জনজীবন হুমকির মুখে পরে যাওয়ার কথা ব্যক্ত করে দ্রুত প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।এ বিষয়ে অবগত করার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পলাশবাড়ীর সঙ্গে বারংবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে না পাওয়ায় পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান কে অবগত করলে ও প্রতিকার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন এবং সরকারি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।