ফজলার রহমান গাইবান্ধা থেকে ঃগাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ফৌজদারী মামলার আসামি কতৃক সাবেক ইউপি সদস্যের দীর্ঘ দিনের ভোগ দখলীয় জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে প্রায় দেড় শতাধিক বাঁশ কর্তন করে আড়াই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। এ ব্যাপারে জমির মালিক সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বাধা নিষেধ করলে তাকে, তার ভাইকে এবং পরিবারের লোকজনকে সন্ত্রাসী কায়দায় মারপিটের ঘটনা ঘটায়। এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
এজাহার এবং গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে পলাশবাড়ী পৌর শহরের হরিণমারি গ্রামের মৃত আয়নাল হকের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামের সাথে একই জ্ঞতির খাইরুল ইসলামের ছেলে মাহবুব ও মিজানুর গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি জমা সংক্রান্ত মামলা, মোকদ্দমা চলায় মামলার বর্ণিত আসামিরা বিগত ৪- ৩-২০২২ ইং তারিখে বাদী শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজনকে মারপিট ও হত্যার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় অভিযোগ /১১ জি আর, ৬৯/২৩ মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করলে ঐ আসামিরা জামিনে এসে মামলার প্রতিশোধকল্পে উল্লেখিত আসামিগণ ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৯-১১-২০২৩ ইং তারিখে বাদীর বাঁশ বৃক্ষাদি কর্তন করে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি এবং বাদীর পরিবারের সকল সদস্যকে সন্ত্রাসী কায়দায় মারপিট করে। এতে বাদীর পরিবারের ৪জন আহত হয়।
এ সময় থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনা সত্যতা পায়। মারপিটে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা পলাশবাড়ী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
এ ঘটনার পূর্বে আসামিগণ বাদীকে মারপিট ও খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদান করলে এবং বাদীর জানমালের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিলে বাদী পলাশবাড়ী থানায় ১০৭ /১১৭ (সি) ধারায় ১৫া০/২২ একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলাটিতে ও আসামিরা কোর্টে মুচ লেখা দিয়ে জামিনে মুক্তি লাভ করে।
তবে মামলার সাক্ষী ও গ্রামবাসী জানায়,আসামিরা অত্যন্ত দুর্দান্ত প্রকৃতির, দাঙ্গাবাজ ও আইন অমান্যকারী হওয়ায় তাদের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না। তাই এ ব্যাপারে বাদীর পরিবার-পরিজন থানা পুলিশ সহ উচ্চ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ##√√