ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।।ঠাকুরগাঁওয়ে জামিনে মুক্তি পেয়ে বাদী পক্ষের উপর অমানবিক নির্যাতন ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে বিবাদী পক্ষের বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ১২ টায় সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের চিলারং গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এরই প্রেক্ষিতে আজ বুধবার ঠাকুরগাঁও সদর থানার একটি মামলায় দায়ের করে ভুক্তোভোগী শাহানাজ বেগম ও তার পরিবার।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ভুক্তোভোগী শাহানাজ বেগমের শশুর আঃ সামাদ পারিবারিক কলহের জেরে আশরাফ আলী, শিউলি আক্তার ও সাজু হোসেনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত করে বিজ্ঞ আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। এরই প্রেক্ষিতে গত রবিবার (১৯ নভেম্বর) বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে বাসায় এসে বাদী পক্ষের সাথে তর্কে লিপ্ত হয় আসামীরা। এ সময় তারা বাদী পক্ষকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে বাদীপক্ষ উত্তেজিত হয়ে যায়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মামলার ২ নাম্বার আসামি শিউলি বেগম ভুক্তোভোগী শাহানাজ বেগমকে এলোপাথাড়ি মারপিট করতে থাকে। পরে মামলার ১ নাম্বার আসামি আশরাফ আলী তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহানাজ বেগমের মাথায় সজোরে আঘাত করে এতে মাথার অনেকটাই কেটে যায়। এ সময় মামলার ৩ নাম্বার আসামি সাজু হোসেন ভুক্তোভোগী শাহানাজ বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছোড়া দিয়ে আঘাত করলে শাহনাজ বেগমের হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম হয়। এ সময় শাহনাজ বেগমের স্বামী তাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে আসামীরা তাদের হাতে থাকা লোহার রোড ও ছোড়া দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে মাটিতে লুটিয়ে ফেলে। পরে তারা বাঁচার জন্য চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের লোকেরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ভুক্তোভোগী শাহানাজ বেগম জানান, আশরাফ ,শিউলি ও সাজু আমাকে ও আমার স্বামীকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর হামলা করে। আমার মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং শরীরে ধারালো ছোড়া দ্বারা আঘাত করে। আমি হাত দিয়ে প্রতিহত করতে চাইলে আমার হাতের আঙ্গুল অনেকটাই কেটে যায় এবং আমার হাতে ও মাথায় ছয়টি সেলাই করে।আমাকে বাঁচাতে আমার স্বামী এগিয়ে আসলে তারা আমার স্বামীকেও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখন করে এতে আমার স্বামীর হাত অকেজো হয়ে যায়। আমরা অনেক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, সন্ত্রাসীরা যেকোনো সময় আবার আমাদের উপর হামলা করতে পারে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর জানান, মারপিটের অভিযোগ পেয়েছি আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।