1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ১২:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
২৫ মার্চ কালো রাতকে হার মানিয়েছে শাপলা গণহত্যা – রাশেদ প্রধান পঞ্চগড় সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন সভাপতি দাউদ, সাধারণ সম্পাদক বাবু এ মেলায় সকলের সম্পৃক্ততা নেই- এটা মনে হচ্ছে বিএনপি’র মেলা – রাণীশংকৈলে মির্জা ফয়সাল মনুষ্যত্বের মানবতা // সিরাজুল রিক্সাচালক গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু তসিবার গানে মডেল প্রিয়া অনন্যা ও মুন্না খান যে মাঠে ১৪৪ ধারা জারি সে মাঠে বৈশাখী মেলার বাড়ী বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করেছে বিজিজেএ কেন্দ্রীয় কমিটি ভবিষ্যতের বাংলাদেশ ফ্যাসিস্টের জন্য আর কোন জায়গা দেবে না -ব্যারিস্টার নওশাদ জমির বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে প্রত্যাশা

কর্মী থেকে জননেতা ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২১৭ বার পড়া হয়েছে

ওসমান এহতেসাম:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ০৯ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন ১৭ জন। এবার এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ ও জননেতা শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বিএনসিসির সদস্য হিসেবে তিনটি জাতীয় প্যারেডে অংশ নেন। ক্যাডেটদের সর্বোচ্চ পদক সিইউও হিসেবে ক্যাডেট জীবন শেষ করেন তিনি। তিনি বাংলাদেশ এক্স ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম বিভাগে কর্মরত সাংবাদিকদের পেশাদার সংগঠন চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থা (চসাস) এর আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
কিশোর বয়স থেকেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি তাঁর। বলা যায় তৃণমূল থেকেই ছাত্ররাজনীতির নানা ধাপ পেরিয়ে, নানা প্রতিকূলতাকে ডিঙিয়ে আজকের এই শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী হয়ে ওঠেছেন তিনি। তবে খুব একটা মসৃণ ছিলোনা তাঁর এই রাজনৈতিক পথচলা। ছাত্রজীবনে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলনেও সক্রিয় নেতৃত্বে ছিলেন সাইমুল।
এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর জন্ম চট্টগ্রামে। বাবা মরহুম এডভোকেট শেখ আলী উল্লাহ চৌধুরী ছিলেন একজন আইনজীবী এবং মা বদরুন নাহর চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে ইসলামিক ইতিহাসে সম্মান ও ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কৃতিত্বের সঙ্গে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
এক এগারোর সময়ে কারাবরণ করা সাইমুল দীর্ঘদিন ধরে নগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। ১৯৮০ সালে, তিনি সরকারি সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের বিতর্ক ও বক্তৃতা বিষয়ক সম্পাদক এবং মাত্র দুই বছরের মাথায় ১৯৮২ সালে তিনি বিচিত্রা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। পরে একই কলেজের ছাত্র সংসদ (১৯৮৩-৮৪) কমিটির জি.এস ও ভি.পি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সালে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হন। এক পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে। তিনি ১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। দায়িত্ব পালন করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও। সর্বশেষ বর্তমান কমিটিতে তিনি আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে আছেন।
রাজপথের আন্দোলনে এক পরিচিত নাম শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন এই নেতা। রাজপথে বারবার পুলিশি হামলার শিকার হয়েছেন, তবুও মাঠ ছেড়ে যাননি। স্বৈরাচার সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের আমলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার হন এই নেতা। পরে এরশাদ সরকারের পতনের পর তিনি মুক্তি পান। ১৯৯৬ সালের প্রথম দিকে খালেদা সরকারের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্বে সড়কে মিছিল বের হলে, পুলিশ মিছিলে ট্রাক তুলে দেয়। এতে পুলিশের ট্রাকে চাপা পড়ে পা ভেঙ্গে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। এই ঘটনায় প্রায় ০৬ মাস তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯৯৪ সালের ২৬শে জুলাই শহীদ জননী জাহানারা ইমামের আহ্বানে লালদিঘীতে গোলাম আজমের জনসভা প্রতিরোধ করতে গিয়ে জামায়াত ইসলাম কর্তৃক দায়েরকৃত হত্যা মামলার আসামী হন তিনি।
২০০৭ সালে যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর মুক্তি পেলে চট্টগ্রাম এর মেয়র এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে পুনরায় তাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় সাইমুলকে লক্ষ্য করে দুই দফা গ্রেনেড হামলা করে জঙ্গিরা। দু’বারই তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। এছাড়া ওয়ান ইলেভেনের সময় কারাবন্দি হন সাইমুল।
শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, আমার এই রাজনৈতিক চলার পথ খুব একটা মসৃণ ছিলনা। বার বার বিরোধী শক্তির ঘাত প্রতিঘাত ও নানা প্রতিকূলতাকে ডিঙিয়ে আজকের এই অবস্থানে আমি। কখনো মিথ্যা ও অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি। ছাত্রজীবন থেকেই আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এবার দলের মনোনয়ন চেয়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছি। আশা করছি, আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেবেন। আমি দলীয় মনোনয়ন পেলে আমার কাঙ্খিত আসনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। দলের জন্য দেশের জন্য নিজের সাধ্যের সবটুকু দিয়ে কাজ করে যাবো। এটাই আমার অঙ্গীকার। এটাই আমার প্রত্যয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং