।। কামরুল হাসান খোকন ।।
জেলায় ৩ আসন
ভুল্লী +সদর+রুহিয়া থানা — ঠাকুরগাঁও আসন-১
বালিয়াডাঙ্গী+ হরিপুর —- ঠাকুরগাঁও-২
পীরগঞ্জ+ রানীশংকৈল — ঠাকুরগাঁও-৩
ঠাকুরগাঁও-১
—————-
বরাবরের মতন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন - শ্রীযুক্ত বাবু রমেশ চন্দ্র সেন এমপি। ২০০৯-এ দল ক্ষমতাসীন হবার পরে ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রি। এখন ওই মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
রাজনৈতিক ইতিহাস-কর্মকান্ডও তার বর্ণাঢ্য। দুর্দিন, দু:সময়ে তার অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক ভূমিকা ভুলবার নয়। ধান- চাল -পাটের ব্যবসা থাকার সুবাদে সদরের একুশটা ইউনিয়নে তার নিবিড় যোগাযোগ। ধান- চাল -পাটের ব্যবসা এসব তার বহু পুরনো। পৈতৃক।
সদরের সব ধর্ম- বর্ণের জনগোষ্ঠী তার বড্ড আপন। সুখে-দুখে , সংকট-সম্ভাবনায়। তেমনি মানুষের একমাত্র ঠিকানা তিনি-ই। তিনি-ই আমাদের অহং, আমাদের ঠিকানা, আমাদের আশ্রয় শ্রদ্ধাস্পদেষু শিক্ষক রমেশ কাকা।
সদরে আর অন্য কোন প্রার্থী নেই ভোট রাজনীতিতে তার ধারেকাছে। ৪,৮৪,০০০ ভোটারের মধ্যে সংখ্যালঘু ভোটার ১,২৫-২৮ হাজার। কেউ কেউ একটু বাড়িয়ে বলেন।
তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি, ৮৬,৯১,৯৬ এর এমপি জননেতা খাদেমুল ইসলাম চাচা হঠাৎ অসুস্থ্য বোধ করেন। ঢাকায় নিয়ে যাবার কিছুদিন পর ৯৬-এর ১৮ ডিসেম্বর তিনি এক ভোরে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯৭ এর ফেব্রুয়ারী বা মার্চের প্রথম দিকে উপনির্বাচনে অনুষ্ঠিত হয়। রমেশ কাকা মনোনয়ন পান। প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টি মনোনীত দুলাল চৌধুরী। বিএনপি নির্বাচন থেকে বিরত থাকে। রমেশ কাকা জয়লাভ করেন। ২০০১-এ রমেশ কাকা পরাজিত হন। এরপর ২০০৮,১৪,১৮ -তে নৌকা মার্কা নিয়ে জয়লাভ করেন। কাকার শুরুটা ছিল চমৎকার। এখন বয়েস হয়েছে। কিন্তু ক্লান্তি তাকে স্পর্শ করেনি। খাদ্যাভ্যাসও ও শরীর ভাল রাখার নিয়মনীতি মেনে চলায় শরীর ভেঙ্গে পড়েনি। এখন ও প্রাণবন্ত ও সজীব। আত্মপ্রচারনায় বিশ্বাসী নন।। কথা কম বলেন, কাজ করেন বেশী। সে কারণে তিনি আজ ও সমান জনপ্রিয়। আমরা আওয়ামী লীগ পরিবার সর্বোচ্চ শ্রম, মেধা দিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হব এবং রমেশ কাকা কে নৌকা মার্কায় বিজয়ী করবো। এটা আমাদের প্রত্যয়। আমাদের আদর্শিক অবস্থান।
ঠাকুরগাঁও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পীঠস্থান।
আবহমানকাল ধরে। এবং এখনও তা সমান অটুট রয়েছে।
সংখ্যালঘু ভোটারদের মধ্যে শহুরে অংশটি রাজনৈতিকভাবে উচ্চাভিলাষী। এম.পি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব সাদেক কোরাইশী সম্প্রতি প্রয়াত হওয়ায় জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক প্যানেল চেয়ারম্যান দেবাশীষ দত্ত সমীর সম্প্রতি ভারপ্রাপ্ত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার কাকাতো ভাই সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অরুণাংশু দত্ত টিটো উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দীপক চন্দ্র রায়। দীপক দাদা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন -৯২ অব্দি। উচ্চাভিলাষী সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক মানুষদের মাঝে এসব নিয়ে বিরক্তি রয়েছে। রয়েছে ক্ষোভ-ও।
গ্রামে, ইউনিয়নে অবশ্য এসব নিয়ে কথা নেই। তাদের কাছে জননেত্রী শেখ হাসিনা এক আরাধ্যের নাম। নৌকা মার্কা-রমেশ কাকা সমার্থক।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
প্রকাশক/সম্পাদক :- শাওন আমিন।। ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক :- মোঃ গিয়াস উদ্দিন।। নির্বাহী সম্পাদক :- ঝড় আমীন।। প্রধান কার্যালয় :- হালিশহর, চট্রগ্রাম। মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২০৬১১৬৩ ঢাকা কার্যালয়:-বাসা নং ৫১/৩,ধানমন্ডি ৩/এ, ঢাকা।-১২০৯ মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২৪১৫৮৫৩,+৮৮০১৫৮০৮২০৬৬৩,+৮৮০১৭১২০৬১১৬৩
E-mail :- newszhor@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত. বাংলাদেশ হোস্টিং