স্টাফ রিপোর্টার।। আচরণ বিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে ব্যাখা চেয়ে নোটিশের জবাব দিয়েছেন পঞ্চগড়-১ আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া। বুধবার দুপুরে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোছা. মার্জিয়া খাতুনের আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হলে আদালতের নির্দেশনায় খাস কামরায় গিয়ে তিনি লিখিত জবাব দাখিল করেন।
গত ২ ডিসেম্বর পঞ্চগড় সদর উপজেলার মানিমাছপুকুরী বাজারে নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূইয়ার উপস্থিতিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব এক বক্তব্যে নৌকা মার্কা ও নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিপরীতে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন করলে সেই সব সমর্থককে হাড় হাড্ডি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নোটিশ প্রদান করা হয়।।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘নির্বাচন যখন আসে, বড় নেতা, ছোট নেতা, মাঝারি নেতা, পাতি নেতা আর থাকে না। আমরা সবাই নৌকার কর্মী। নৌকার বিরুদ্ধে যদি এই অঞ্চলে কেউ কিছু বলে, কোন বিরোধীতা করে, হাড্ডি ফাটায় দিবেন। আমরা দেখবো ইনশাল্লাহ।’ নাঈমুজ্জামান ভুইয়ার পক্ষে আদালতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মির্জা সারোয়ার হোসেন, সরকারী পক্ষে ছিলেন পিপি মির্জা সুলতানে আলম।
জবাব প্রদানের পর আওয়ামী দলীয় প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে আমি বলেছি যে, ‘সরকার দলীয় প্রতিনিধি সত্ত্বেও জবাবদীহিতার বাইরে নই। এতে প্রমাণ করেছে নির্বাচন কমিশন ও সরকার চায় একটা সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূল নির্বাচন। যিনি ওই বক্তব্যটা দিয়েছে, সেই বক্তব্য আমার কাছে গ্রহনযোগ্য নয়। সেটা আমার কোন নির্বাচনী সমাবেশ ছিল না। ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে বসেছিলাম। ভবিষ্যতে যাতে আমার সমাবেশ থেকে কেউ এরকম বক্তব্য না দেয়, সেই ব্যাপারে আমি সতর্ক থাকবো। #