স্টাফ রিপোর্টার।। পঞ্চগড়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার ও বদলি হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের ছয়টি পরীক্ষা কেন্দ্রে কর্মকর্তারা সাত জনকে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস, মোবাইল ব্যবহারসহ নকল করে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে আটক করে। পরে তাদেরকে পুলিশে কাছে সোপর্দ করে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করছেন। রাতেই তাদের আদালদের মাধ্যেমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে পরীক্ষায় কানের মধ্যে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করার ৫ জন, মোবাইল ব্যবহার করার অপরাধে ১ জন ও বদলি হিসেবে পরীক্ষা দেয়ার অপরাধে মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে রাবেয়া সুলতানাকে মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ কেন্দ্র থেকে, মাসুমা বেগম মনিরাকে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার কলেজ কেন্দ্র থেকে, ভাস্কর রায়কে জগদল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে, মুস্তাফিজুর রহমানকে খানপুকুর খোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে, উম্মে সুবাহ সাদিয়াকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সিটিটিউট কেন্দ্র থেকে কানে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের অভিযোগে ও কবির হোসেনকে খানপুকুর খোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে মোবাইল ব্যবহারের অভিযোগে এবং নুরুজ্জামানকে পঞ্চগড় নুরুন আলা নূর কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে বদলি পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম মন্ডল জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ব্যবহার করে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে এদের আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইননগত ব্যবস্থা গ্রহণে সদর থানায় মামলা করেছি।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপে পঞ্চগড় জেলা শহরের মোট ২৪ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে একযোগে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ১২ হাজার ৬৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯ হাজার ৯৫৫ জন উপস্থিত এবং ২ হাজার ৬৯৫ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্বচ্ছভাবে নিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমসহ বিভিন্ন ভাবে প্রচারণা চালাই। কেন্দ্রের সামনে সতর্কতা নির্দেশনা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিল। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে দ্বায়িত্বরতরা পরীক্ষার্থীদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন। এর পরেও এই কয়েকজন অসাধু ব্যাক্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করছিলেন। আমরা পরীক্ষার শুরুতেই তাদের আটক করতে সক্ষম হই। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। #