স্টাফ রিপোর্টার।। বাংলার নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী ৯ ডিসেম্বর। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান শনিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, সফল জননী নারী রাবেয়া খাতুন বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক একেএম ওয়াহিদুজ্জামান সম্রাট।
জেলা প্রশাসক বলেন,‘বেগম রোকেয়া ছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন আধুনিক নারী। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন সমাজ তথা রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নের জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন। তাঁর এই উপলব্ধি ও আদর্শ আজও আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালের একই দিনে তিনি মারা যান।
অনুষ্ঠানে পরে জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ ২০২৩ উপলক্ষে পাঁচ ক্যাটাগরিতে জেলার সেরা পাঁচজন নারীকে উত্তরীয় সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন তিনি। এরা হচ্ছেন অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে সাদিকা তাসনিম মৃদু, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী হিসেবে মো. সাবিনা ইয়াসমিন, সফল জননী হিসেবে রাবেয়া খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা হিসেবে মো. তাসলিমা আকতার এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় লুৎফা বেগমকে উত্তরীয় সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। #