ফজলার রহমান গাইবান্ধা থেকে ঃদীর্ঘদিন যাবত অনৈতিক সম্পর্ক ফাঁস হওয়ায় বিয়ের দাবী নিয়ে গিয়াই এর বাড়ী অবস্থান করছে বিয়ান। মারপিট করে তারিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে বিয়াই ও তার আত্নীয় স্বজনরা। ৯৯৯ নম্বরে অভিযোগ করলে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ বিয়াই ও বিয়ানকে থানায় নিয়ে আসে।
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের খুকশিয়া ( কালুগাড়ী) গ্রামে এমন ঘটনাটি ঘটেছে।
খুকশিয়া ( কালুগাড়ী) গ্রামের মৃত আঃ কদ্দুসের ছেলে ছয়ফল মিয়ার মেয়ের সহিত প্রায় দেড় বছর পূর্বে একই গ্রামের পাতারিয়া বাড়ীর মমতাজ উদ্দিনের ছেলে বিপুলের বিবাহ হয়।
বিবাহের কিছুদিন পর থেকে বিয়াই ছয়ফল তার বিয়ানের প্রতি কু-নজর দেয়া শুরু করে। আত্নীয়তার কারনে উভয়ের বাড়ীতে যাতায়াতের সুযোগে ছয়ফল মিয়া তার বিয়ানের সঙ্গে জোরপূর্বক যৌন মেলা মেশা করে। সেই থেকে শুরু হয় তাদের এই অবৈধ্য সম্পর্ক।
এর এক পর্যায়ে গত ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার মেঘাছন্ন দিনে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে ছয়ফল মিয়া সু-কৌশলে তার বিয়ানকে ফোন দিয়ে জরুরী বাড়ীতে ডেকে নেয়। এতে ছয়ফলের স্ত্রীর সন্ধেহ হলে পার্শ্ববর্তী দুই জনকে কৌশলে ডাকে। তারা এসে ঘরের জানালা দিয়ে বিয়াই-বিয়ানের অনৈতিক কার্যকলাপ দেখে ডাক চিৎকার দিয়ে লোকজন একত্রিত করে।
লোকজন জানা জানি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় দেন দরবার করে বিয়ানকে মারপিট করে ছয়ফুলের দুলাভাই (বোন জামাই) একই গ্রামের (ডাঙ্গা পাড়ার)মৃত কোনা শেখের ছেলে আঃ জলিলের বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং পরে স্বামী মমতাজের বাড়ীতে পাঠায়।
এসব ঘটনা জানার পর স্বামী মমতাজ তার স্ত্রীকে বাড়ীতে উঠতে না দেয়ায় অদ্য ৯ ডিসেম্বর শনিবার সকালে বিয়ের দাবী নিয়ে বায়ান বিয়াই ছয়ফলের বাড়ীতে অবস্থান নেয়। এতে ছয়ফল ক্ষিপ্ত হয়ে তার দুলাভাই (বোন জামাই) ও ভাগ্নেসহ কতিপয় লোকজন তাকে মারপিট করে বাড়ী থেকে বের করে দেয় ও ছয়ফলের কয়েকটি গরু নিয়ে গোপনে জলিলের বাড়ীতে রাখে।
এর পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিয়াই ও বিয়ানকে থানায় নিয়ে আসে। এতে তিনটি সংসার ভাঙ্গার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।##√√