আবুতৌহিদ,আটোয়ারী, পঞ্চগড়:: দৈনিক ঝড় পত্রিকার সম্পাদক শাওন আমিনের চোখে ধরা পড়ে একজন সাংস্কৃতিকমনার ব্যক্তি। সেই ব্যক্তি কবিতা,নিজের কন্ঠে গাওয়া গান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দৈনিক ঝড় পত্রিকার রিপোর্টার আবুতৌহিদের আইডিতে দেখে।
দৈনিক ঝড় পত্রিকার সম্পাদক শাওন আমিন একজন প্রতিবাদী, সাংস্কৃতিক মনা ব্যক্তি।সে সুত্রেই নজরে পড়ে যান আসাদুজ্জামান আসাদ।।
আসাদুজ্জামান আসাদের সেই জীবনের গল্পের কিছু অংশ।।
পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার ৫নং বলরামপুর ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের
মৃত মসলে উদ্দীন প্রধানের দ্বিতীয় স্ত্রী আলেফা খাতুনের চার নম্বর সন্তান আসাদুজ্জামান আসাদ।। তিনি ১৯৬৩ সালে জন্মগ্রহন করেন।।
তারা দুই ভাই দুই বোন সবার ছোট তিনি।।
আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন তিনি যখন সাত/আট বছর বয়সের তখন তার বাবা ইন্তেকাল করেন।।
ওনান বাবা একজন জমি জমা, ধন সম্পদশালী ব্যাক্তি ছিলেন। বাবার মৃত্যুর সুযোগ পেয়ে বাবার বড় স্ত্রীর সন্তানেরা তাদের উপর এক প্রকার অত্যাচার শুরু করে।।
জায়গা জমি আত্মসাৎ করে বাড়ি থেকে এক প্রকার বিতাড়িত করে বের করে দেয়।।
যেহেতু ছোট ছিল সেহেতু জীবন বাঁচার তাগিতে তার বাবার এক প্রজার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।।
সেখান থেকে বদলে যায় সেই চার ভাই বোন সহ মায়ের জীবন।নেমে আসে কঠিন ঝড় ঝাপটা।জীবন যুদ্ধ করে এবং মায়ের কথায় এস,এসসি পাশ করে।।
এক বছর কলেজে পড়ার পর আর পড়া হয়নি এই জীবন যুদ্ধের সৈনিকের।আর্থিক কারনে।।তিনি যেহেতু জীবন যুদ্ধ করে দ্বিতীয় বড় মাতার সন্তানদের ফাঁদ পাতা জাল থেকে বড় হয়েছে। তিনি ছোট থেকে সাহিত্যিকমনা, সমাজের নানান কাজে এগিয়ে যেতেন।যেখানে অন্যায় সেখানে প্রতিবাদ করতেন।।
একটি খাশ মাটি নিয়ে গরীব দু:খীদের পাশে থেকে প্রতিবাদ করছিলেন।সেখানে হেরে গেছিলেন পুঁজিবাদের কালো টাকায় হেরে যায়।নেমে আসে গরীবদের প্রতি অন্যায় অত্যাচার পুলিশ নির্যাতন।।
এ ভাবেই কটা বছর পর তার মা মারা যায়,
তিনি মা পাগল সন্তান ছিলেন,মা মারা যাওয়ার পর জীবনের সব দু:খ কষ্ট মিলে এক সময় সঙ্গিত মনা হয়ে উঠে, বাউল হয়ে যায়, গান, একতারা, বাশি সুরে ঢুকে পড়ে,তিনি এক তারা এবং বাঁশের বাঁশিতে খুব ভাল সুর তুলতে পারেন।তিনি একজন এলাকার ভাল বাঁশি বাদক ছিলেন।।
তিনি এলাকার অনুষ্ঠান গুলো তে বাঁশি বাজাতেন,বাউল গান করতেন,নাটকে অভিনয় করতেন।
তিনি যাত্রা মঞ্চে যাত্রায় অভিনয় ও করতেন।।তিনি অবসর সময় বড় বড় বিপ্লবীদের আত্মজীবনী জানতে চেষ্টা করে,। যেমন..
চেত্তগুয়েসহেতা,ফিদ্যাল কাষ্ট,হিটলার,আলেকজান্ডার, ম্যানশন ম্যান্ডেলা, ইতিহাস মুজালাম ইত্যাদি।
নেষা যেনে থেমে থাকেনা
নিজের আত্মতৃপ্তির জন্য লিখে ফেলেন বিপ্লবী কবিতা,প্রেমের কবিতা,গান,বানি।
জীবন বাচার তাগিতে স্বাস্থ্য বিভাগের চতুর্থ শ্রেনী পদে যোগদান করলে পরবর্তীতে স্বাস্থ্য উপসহকারী হিসেবে ৩১বছর চাকরি করে অবসর নেওয়ার পর সেখানেও ঠকতে হয়েছে তাকে পেনশনের টাকা তুলতে।।
তিনি বর্তমানে স্ত্রী কুলসুম আক্তার বেলি ও দুই ছেলে দুই বৌমা নাতি নাতনি সহ সুখে বসবাস করতেছে।।