1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ১১:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
প্রকাশ পেল প্রিয়া অনন্যা ও নিলয়ের ‘তুমি আমি রাজি’ রুহিয়া থানা প্রেসক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত আনিস কে বিয়ে করতে দিলো না পুলিশ দীর্ঘ ১৬ বছর পর তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন।।  রঞ্জু সভাপতি শাহীন সম্পাদক নির্বাচিত ঘোড়ার ঘূর্ণি প্রশ্ন //  সাইফুল ইসলাম সরকার পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবকে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট : থানায় তিন সাংবাদিকের এজাহার ঠাকুরগাঁওয়ে জাকজমক আয়োজনে টি ২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু ভবানীগঞ্জ সরকারি কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধানের বিদায় ও সংবর্ধনা  জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের মানোন্নয়ন লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা ঠাকুরগাঁওয়ে “মির্জা রুহুল আমিন” স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সংবাদ সম্মেলন

ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাপক হারে খুরা রোগের প্রকোপ, গরুর মৃত্যুতে দিশেহারা কৃষক

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

রেজাউল করিম রাজা, স্টাফ রিপোর্টার, : ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাপকহারে দেখা দিয়েছে গরুর ক্ষুরা রোগের প্রকোপ। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক গরু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক ও ক্ষুদ্র খামারীরা। ভ্যাকসিন সংকট আর প্রাণী সম্পদের ভ্যাটেনারী ডাক্তারের পরামর্শ ফি দিতে গুনতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এতে প্রাণী সম্পদের দিক থেকে মুখ ফিরে নিচ্ছেন অনেকে।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সিংগীয়া, ঘোষপাড়া, জগন্নাথপুর, নারগুন, বেগুনবাড়িসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে গরুর খুরা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। কাঁপে কাঁপে জ্বর আসছে, মুখ দিয়ে লালা পড়ছে, হুট করে পড়ে মারা যাচ্ছে। মারা যাওয়ার গরুর সংখ্যাও কম নয়। গরু মারা যাওয়ায় অনেক কৃষক ও ক্ষুদ্র খামারি নিশ^স্ব হয়ে পড়েছেন। গত এক সপ্তাহের ব্যাবধানে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সিংগীয়া ঘোষপাড়া গ্রামের পারবর্তী ঘোষ বলেন আমার তিনটা গরু ছিল। গাভীর দুধ বিক্রী করে সংসার চালাই, ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগাই। তিনটি গরুর দাম ছিল প্রায় ৩ লাখ টাকা কিন্তু গরু মারা যাওয়ায় আমি নিশ^:স হয়ে পড়েছি। একই গ্রামের অনিতা রাণী কেঁদে কেঁদে বলেন আমার আয় রোজগারের একমাত্র উপায় ছিল ৩টি গাভী, কিন্তু গাভী গুলো মারা যাওয়ায় নিশ^:স হয়ে পড়েছি। কি ভাবে চলবো উপায় খুজে পাচ্ছি না।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সিংগীয়া গ্রামের কামিনী রায় বলেন ছোট ডাক্তার দিয়ে কাজ হয় না, বড় ডাক্তার আনতে হয়। প্রাণী সম্পদের বড় ডাক্তার আসলে আড়াই হাজার, দুই হাজার, তিন হাজার টাকা দিতে হয়। অনেকে ভিজিটের জন্য বড় ডাক্তারের কাছে যায় না। উপায় না পেয়ে গরু বিক্রী করে দিতে হচ্ছে। একই গ্রামের প্রমিলা ঘোষ বলেন কাঁপে কাঁপে জ্বর আসছে, মুখ দিয়ে লালা পড়ছে, হুট করে পড়ে মারা যাচ্ছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে ১৫টি গরু মারা গেছে। আমাদের বাড়িতে ৭টি গরু ছিল, কমদামে বিক্রী করে দিতে হয়েছে।

সদর উপজেলার আলমপুর গ্রামের কৃষক কুশুদেব বর্মন বলেন এলাকায় প্রাণী সম্পদের লোক-জনের কোন দেখা পাওয়ায় যায় না। প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে গেলে সেখানেও পাওয়া যায় না। আগে থেকেই ভ্যাকসিন সরবরাহ করলে এই অবস্থা তৈরী হতো না।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা : হেমন্ত কুমার রায় ভ্যাকসিন সংকটের কথা জানিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ক্যাম্পেইন, উঠান বৈঠক করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি শুনেছি, এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং