স্টাফ রিপোটারঃঠাকুরগাঁও সদর উপজেলাধীন ২নং আখানগর ইউনিয়নের ঝাড়গাঁও গ্রামের মোবারক আলীনামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে এলাকার খাস জমি দখল ও সাধারন মানুষকে মিথ্যা মামলার ফাঁদে ফেলে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে ।
সরেজমিনে জানাযায়,ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলাধীন ২নং আখানগর ইউনিয়নের ঝাড়গাঁওগ্রামে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী বেশকিছু খাসজমি খাল ভরাট করে চাষের উপযুক্ত করে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছিল। আর এসব দেখে সহ্য হয় না ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলীর।
এ বিষয়ে বেশ কজন এলাকাবাসী জানায়,ভুয়ামুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে এলাকায় দাপট দেখিয়ে তিনি ঐ জমিগুলো নিজ নামে দখল করার পায়তার করে এবং চাষাবাদের চেষ্টা করে।
তার এমন কৃতকর্মে এলাকাবাসী বাধা বাধা প্রদান করলে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকার জনসাধারণকে বিভিন্ন মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা মোকদ্দমা ভয়ভিতী প্রদান করা সহ বেশ কজনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মোবারক আলীর বিষয়ে আরো খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, আখানগর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেন এবং তার ভাতার ব্যবস্থা করে দেন।তার পর ইংরেজী ২০২২ সাল থেকে তিনি মুক্তিযুদ্ধা ভাতা পান।
এলাকাবাসির সূত্রে আরোও জানা গেছে, স্বাধীানতার যুদ্ধের সময় যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেননি
মোবারক আলী।তার মা স্বাধানিতা যুদ্ধে সময় একজন রাজাকার বাহিনীর সদস্য বা দলভূক্ত ছিলেন এমনকি তার মা একজন কুখ্যাত দুর্দান্ত ডাকাতের স্ত্রী ছিলেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা চলাকালিন সময় পাকিস্থানী বাহিনী যোগাযোগ করিয়া গোপনে সংবাদ প্রেরণ করিয়াছেন।
একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলীর এহেন অপ কর্মকান্ডে এলাকার জনসাধারণ সহ বহু নিরীহ মানুষের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আর্থিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছে।
ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলীর হাত থেকে রক্ষা পেতে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এবং এলাকাবাসী… রাজনৈতিক, সামাজিক এবং প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে এই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।