সোমবার (১ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তায়জুল ইসলাম শৈলকুপা থানায় এ মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম, ৭নং হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকু ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম হোসেন মোল্লা।
ঝিনাইদহ-১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি গত ১৬ ডিসেম্বর শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলামের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। যা গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৭ (১) (ক)–এর লঙ্ঘন। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় তিনটি মামলা হলো।
অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নে পোস্টার লাগাতে ও প্রচার মাইক যেতে দিচ্ছেন না। এ ছাড়া বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য ২৫০ প্যাকেট বিরিয়ানি ইকু শিকদারের বাসা থেকে আনা হয়। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি সেগুলো জব্দ করে। এটি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ ও সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০০৮–এর বিধি ১০(চ)–এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তায়জুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, নির্বাচন অনুসন্ধানী টিমের পাঠানো প্রতিবেদনটি নির্বাচন কমিশন যাচাই-বাছাই করে আমাদেরকে মামলার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নির্দেশেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় শৈলকুপা থানায় মামলা করেছি।