শহীদুল ইসলাম শহীদ।। বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে প্রধান দুই দলের রাজনৈতিক দূরত্ব, বিভিন্ন ইস্যুতে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশ না নেয়া ও নির্বাচনের পক্ষে-বিপক্ষে দল দুটির অনড় অবস্থানের কারণে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশে- বিদেশে বেশ আলোচিত। নির্বাচনের সার্বিক দিক নিয়ে বিশ্বের পরাশক্তি আমেরিকা, রাশিয়ার মতো দেশও তাদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করছে। বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশ এখন একটা বড় ফ্যাক্টর বলে মনে হচ্ছে। যাই হোক, সাংবিধানিক বাধ্য বাধকতার কারণে নির্ধারিত সময়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতেই হবে। আর নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করল কি করল না; এ নিয়ে কথা বলা আমি সমীচিনও মনে করছি না। কেননা নির্বাচন বর্জন করাও রাজনীতির একটা অংশ। তবে দেশের বৃহৎ স্বার্থে সকল দলের অংশগ্রহণ নির্বাচনের ভারসাম্য ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
আমি একজন প্রবীণ গণমাধ্যমকর্মী। দীর্ঘদিন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার অভিজ্ঞতা থেকে যে বিষয়টি আমার দৃষ্টি কাড়ত, সেটি হলো যোগ্য ও দক্ষ প্রার্থীর অভাব। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকলেই যে প্রার্থী যোগ্য হয়, এমন একটা ধারণা সবাই করেন। আর সাধারণ মানুষ চায়, যার সাথে সহজে সব সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করা যায়, তাদের যেকোন প্রয়োজনে কাকে ভরসা করা যায় এমন প্রার্থীর অভাব বরাবরই অনুভব করতো। সাধারণ মানুষের সেই ভাবনার বিষয়টি এতোদিন ভাবনাতেই ছিল। এবার সেই ভাবনার অবসান ঘটেছে বলে আমার বিশ্বাস।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার রাজনৈতিক বিচক্ষণতায় পঞ্চগড়ে যোগ্য ও স্মার্ট প্রার্থী বাছাই করেছেন। যে কথা সাধারণ মানুষ অনুভব করতো সেটাই পূরণ করেছেন। গত কয়েকটি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের দিক তাকালে আসছে নির্বাচন একটি ব্যতিক্রমী নির্বাচন। এ নির্বাচনে দলের নির্ধারিত প্রার্থীর সাথে একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী পরস্পরের সাথে ভোট যুদ্ধে নেমেছে। এটা কতটা ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে সেটা ভবিষ্যতে বলা যাবে। তবে পঞ্চগড়ের উন্নয়নে মুক্তার মতো দক্ষ, জনবান্ধব, স্মার্ট ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থী মনোনয়ন ও ভোটে এগিয়ে থাকবে এমন প্রত্যাশা করা যেতেই পারে। সবচেয়ে যে কথাটি বলা প্রয়োজন, সেটি হলো নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত প্রার্থী জেতা-হারার সাথে একটা সম্মানও জড়িয়ে থাকে। স্বতন্ত্র প্রার্থী দলের হলেও তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী। প্রধানমন্ত্রীর মতের বিরুদ্ধ এটা ধরেই নেয়া যায়। আমরা ভালোবাসি প্রধানমন্ত্রীকে, আর সেই ভালোবাসার বর্হিঃপ্রকাশ হোক তার পছন্দ ও মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে, সমর্থন দিয়ে, সহায়তা করে।
নানান মত নানান পথ রাজনীতিতে সৌন্দর্য বাড়ায়। আমরা সেই সৌন্দর্য উপভোগ করি, সুফল ভোগ করি। এবার সুফলের আশায় পঞ্চগড় ১ আসনে মুক্তার যে নির্বাচনী গণ জোয়ার লক্ষ্য করছি, তাতে সাধারণ মানুষ যে মুক্তাকেই বেছে নিবে এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। লেখক: পঞ্চগড়ের একজন প্রবীণ গণমাধ্যম কর্মী ।