ফজলার রহমান গাইবান্ধা থেকে ঃ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে গাইবান্ধা পাঁচটি আসনের ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে গাইবান্ধা জেলা তথ্য কর্মকর্তা কর্তৃক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত,দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নীরপেক্ষতার সাথে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গাইবান্ধা জেলার রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক পুলিশ বিভাগ এবং নির্বাচন অফিস সহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। নির্বাচনে বিধিমালার বিধান প্রতিফলন নিশ্চিতকরণে জেলায় ১০ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেট গণ এখন পর্যন্ত ১৯৫ টি মামলায় ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে। সবগুলো নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থী গনের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেইট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প অপসারণ ও আচরনবিধি পরিপন্থী কার্যক্রম প্রতিরোধে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগন কাজ করছেন।নির্বাচন চলাকালীন দায়িত্ব পালনের মধ্য ইতিমধ্যে আরো ১৪ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আরো ১০ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গাইবান্ধা জেলার পদায়নের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আজ গাইবান্ধা -৫ আসনের একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে সাঘাটায় নির্বাচনী আচরণবিধি পরিপন্থী একটি সভা আয়োজন করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেটি বন্ধ করে দেন।
নির্বাচন কালীন সময়ে ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ইতিমধ্য ২৩ প্লাটুন বিজিবি এ জেলায় মোতায়ন করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ইতিমধ্য কার্যক্রম শুরু করেছে। র্যাবের ১০ টি টিম কাজ শুরু করেছে। এছাড়া গাইবান্ধা জেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ব্যাটালিয়ান আনসার দ্রুততম সময়ে কার্যক্রম শুরু করবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে গুরুত্বভেদে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য মোতায়ন করা হবে। ভোট গ্রহনের দিন এসব বাহিনীর বাইরে পুলিশের সকল সদস্য মোবাইল ফোর্স /স্ট্রাইকিং হিসেবে দায়িত্বরত থাকবেন। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ইতিমধ্য সমাপ্ত হয়েছে। সকল উপজেলার প্রতিটি প্রশিক্ষণে জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন অফিসার উপস্থিত থেকে নিরপেক্ষ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের প্রত্যয় পূর্ণব্যক্ত করে প্রয়োজনের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
এছাড়া, মাননীয় নির্বাচন কমিশনার জনাব রাশেদা সুলতানা এ জেলায় প্রিজাইডিং অফিসারদের একাংশের সাথে মতবিনিময় করে তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মত বিনিময় করে সুষ্ঠু নির্বাচন তার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন ও সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এছাড়াও নির্বাচন -পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার তারিখ হতে নির্বাচনের ফলাফল গেজেটে প্রকাশের সময় পর্যন্ত গাইবান্ধা জেলার ৫টি নির্বাচনী এলাকার জন্য ৫টি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠিত হয়েছে। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি ইতিমধ্য বিভিন্ন প্রার্থীকে আচরণ বিধি ভঙ্গ করার কারণে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন -পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সকল সময় সতর্ক অবস্থায় নির্বাচনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে । গতকাল গাইবান্ধা -৪ আসনের একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে খাওয়া-দাওয়া আয়োজন করার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
নির্বাচন চলাকালীন সময়ে আগ্নেয়াস্ত্র পরিবহন ও প্রদর্শন আগামী ৯ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ইতিমধ্য বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা ও সম্মানিত নাগরিকদের ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে।গঠিত টিম সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সময়ে সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অবাক সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এ জেলার সম্মানিত ভোটারগন যাত বাধাহীনভাবে সংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তারজন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।