এম,সফিউল আজম চৌধুরী :- চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এর নির্বাচনোত্তর সংবাদ সম্মেলন বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আমাকে যে কারণে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মূল্যায়ণ করছেন তার প্রতিদান আমি অক্ষরে অক্ষরে দেয়ার চেষ্টা করবো। আমার সততা দিয়ে বীর পটিয়ার হারানো ইমেজ ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।তিনি আজ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি চট্টগ্রাম-১২ আসন (পটিয়া)” এর উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জীবনের প্রায় ৬০ বছর ধরে রাজনীতি করে এসেছি কিছু পাওয়ার জন্য নয়। যৌবনের সুবর্ণ সময়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ করে হুলিয়া, মামলা, জেল-জুলুমের স্বীকার হয়েছি। আমাদের আদর্শিক নেতা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের যে ক’জন ছাত্র, যুবনেতা প্রতিবাদ—প্রতিরোধে অংশ নিয়েছিলেন, আমি তাদের মধ্যে অন্যতম।’তিনি আরও বলেন, ‘পরপর দু’বার গ্রেপ্তার করে সামরিক শাসক জিয়ার সেনাবাহিনী আমার উপর নির্মম নির্যাতন চালায়। ভাগ্যক্রমে আমি বেঁচে আছি সেনা ক্যাম্পের নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে।’মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী আরো বলেন, ‘সামরিক শাসকের প্রলোভন, হুমকি, নির্যাতন কিছুই আমাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। এক নেতার আদর্শে তরুণ বয়সে শুরু করা রাজনীতিতে অটল থেকে এখন জীবন সায়াহ্নে এসেছি। রাজনীতি করেছি কখনও পাওয়ার জন্য নয়, রাজনীতিতে জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছি। কখনও ভাবিনি রাজনীতি করতে গিয়ে কিছু হবো। ইতোপূর্বে আমার দলের নেত্রী আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে নিজের সততা এবং নিষ্ঠাকে ধরে রেখেছি। আমার আশপাশে কি হচ্ছে, কে কি করছে— সেদিকে গা ভাসাইনি। অনেক ক্ষেত্রে কারও কারও সাথে গা না ভাসিয়ে চক্ষুশূল হতে হয়েছে। এ কারণে আমাকে নানাভাবে ঠেকানোর চেষ্টা হয়েছে।সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১২ আসন (পটিয়া) হতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে অশেষ শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দল থেকে মনোনয়ন দিয়ে মহান জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার সুযোগ দেয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেইসাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সকল সদস্যদের, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গকারী সকল শহীদ, সম্ভ্রম হারানো সকল মা-বোনকে, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের, সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চট্টগ্রামের কৃতি সন্তানদের শ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করেন। গত ০৭/০১/২০২৪ তারিখ নির্বাচনের পর কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য, আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ-সংগঠনের নেতা কর্মীদের দায়ী করা হচ্ছে, যা অহেতুক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আমার কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা অব্যাহত রেখেছে বলে জানান। নির্বাচন হচ্ছে একটি প্রতিযোগিতা, এখন প্রতিযোগিতা শেষ। তাই মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী পটিয়াকে তার অতীত ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সাজাতে চায় বলে মন্তব্য করেন। কোন হিংসা-প্রতিহিংসা নয়, ক্ষোভ-বিক্ষোভ নয়, পটিয়া হবে শান্তির জনপদ বলে জানান। মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পটিয়াকে একটি স্মার্ট ও আদর্শ উপ-শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চান এবং সেজন্য সর্বস্তরের পটিয়াবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।নির্বাচনে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাবেক মহিলা এমপি চেমন আরা তৈয়ব, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আইয়ুব আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক, স্বাস্থ্য সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল রশিদ, সদস্য রাশেদ মনোয়ার, নাছির উদ্দিন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম এ আব্দুল মতিন চৌধুরী, কাজী আবু তৈয়ব, মোজাহেরুল আলম চৌধুরী, ডক্টর জুলকারনাইন চৌধুরী জীবন, সত্যজিৎ দাশ রুপু, গোলাম সরোয়ার চৌধুরী মুরাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তালেব, চেয়ারম্যান ইনজামুল হক জসিম, এহসানুল হক, মাহাবুবুর রহমান, শাহিনুল ইসলাম শানু, জাকারিয়া ডালিম, আমিনুল ইসলাম খান টিপু, আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ ছৈয়দ, শাহাদাত হোসেন ফরিদ, আজিমুল হক, ঋষি বিশ্বাস, এডভোকেট এম হোসাইন রানা, আবুল হাসনাত খোকন, যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নান লিটন, হাসান উল্লাহ চৌধুরী, ইমরান উদ্দিন বশির।