স্টাফ রিপোর্টার।। পঞ্চগড়ে এবারই প্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেছে জেলা আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপ। এর মধ্যে একটি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু সারোয়ার বকুল ও অপরটি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের নেতৃত্বে। মঙ্গলবার রাতে দিবসটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে আহবান জানানো হয়। এ জন্য উভয় পক্ষের সমর্থকরা উভয় পক্ষের মাইকে প্রচারণায় প্রতিবাদ করে বন্ধ করে দেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় গত ২০ ডিসেম্বর রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম সুজন দলীয় কার্যালয়ে নেতাদের এক সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটকে সরিয়ে দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সাধারণ সম্পাদক আবু সারোয়ার বকুলকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু সারোয়ার বকুলের নেতৃত্বে সকালে দলীয় নেতাকর্মীরা পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবু তোয়বুর রহমান। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মনিরা পারভীন, সুবেন শর্মা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম সারোয়ার হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবু সারোয়ার বকুল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন, পৌর কৃষকলীগের সভাপতি আকতারুন নাহার সাকীসহ জেলা, উপজেলা, পৌর আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট নেতাকর্মীদের নিয়ে দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে আলোচনা করেন। শেষে জেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পমাল্য অর্পণ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। মোনাজাতে বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের মাগফেরাত ও দেশ জাতির সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু সারোয়ার বকুল বলেন, যেহেতু দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কাজেই তিনি আর সাধারণ সম্পাদকের পরিচয় দিতে পারেন না। জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কোন সুযোগ নেই। তাঁর সমর্থকরা আমার নামে প্রচারিত মাইক বন্ধ করে দেন। আমরা দিবসটি যথাযথ ভাবে পালন করেছি।
আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, যেহেতু কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে আমি নির্বাচনে ছিলাম। তাই ৭ জানুয়ারি পর আমি দলের সাধারণ সম্পাদক। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে পারেন না। এটা কেন্দ্রীয়ভাবে বলা হয়েছে। তাও আমি মেনে নিয়েছি। আর প্রচারণার কোন মাইককে বাঁধা দেওয়া হয়নি। আমরা দিবসটি যথাযথভাবে পালন করেছি। #