পঞ্চগড় প্রতিনিধি।। পঞ্চগড়ের প্রবীণ গণমাধ্যমকর্মী শহীদুল ইসলাম শহীদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন বুধবার পৌরসভার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে তার চিকিৎসার খোজঁখবর নেন এবং আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করেন। শহীদুল ইসলাম শহীদ দৈনিক প্রথম আলোর পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘ কুড়ি বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক দেশ রূপান্তর, দি ডেইলি অবজারভার ও বাংলাদেশ বেতারের জেলা প্রতিনিধি।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্যানক্রিয়াস, ডায়াবেটিসসহ নানান রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, জেলা প্রশাসক, নাঈমুজ্জামান ভুইয়া মুক্তা, আহমদিয়া মুসলিম জামাতসহ অনেকের সহযোগিতায় দেশে বিদেশে চিকিৎসায় এখন অনেকটা সুস্থতার পথে তিনি। গত পাঁচ বছর ধরে তাঁর স্ত্রী মমতাজ বেগম প্যারালাইসিসে ভুগছেন। হঠাৎ করেই তাঁর শরীরের নীচের অংশ অচল হয়ে পড়ে। দেশে-বিদেশে চিকিৎসায় একটু একটু করে অনেকটা ভালোর দিকে। তবে তাঁদের দুজনের প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকার চিকিৎসা খরচ লাগে। বর্তমানে তাঁর স্ত্রীর নিয়মিত থেরাপী, ব্যায়াম আর ওষুধ সেবন করছেন। শহীদ বঙ্গবন্ধু মেডিলেক বিশ্ব বিদ্যালয়ে চিকিৎসা শেষে ভারতের হায়দারাবাদের ইন্সটিটিউট অব গ্যাসট্রোএন্ট্রোলজী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রবাসী ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম আকাশ ও তাঁর স্ত্রী মুক্তি নিয়মিত খোঁজ খবর ও সহযোগিতা করছেন।
চেক প্রধানকালে মেয়র জাকিয়া খাতুন বলেন, শহীদুল ইসলাম শহীদ পঞ্চগড়ের একজন প্রবীণ সাংবাদিক। দীর্ঘদিন ধরে মাঠে ময়দানে উনাকে দেখে আসছি। উনার ও উনার স্ত্রীর অসুস্থতার সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিয়েছি। তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ সংবাদকর্মী। সহযোগিতা করতে পেরে আমি খুশি হয়েছি। ভবিষ্যতে আরো সহযোগিতা করার ইচ্ছা আছে। এমন একজন নিবেদিত প্রাণ সংবাদকর্মী বিনা চিকিৎসায় হারিয়ে যাবে মানতে পারছি না।
আর্থিক সহায়তার চেক পেয়ে শহীদুল ইসলাম শহীদ মেয়রকে প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, জেলা প্রশাসক, নাঈমুজ্জামান মুক্তা, আহমদিয়া মুসলিম জামাত, প্রবাসী ছোটভাই আকাশসহ অনেকের সহযোগিতায় দেশে বিদেশে চিকিৎসায় আমি সুস্থ আছি। এজন্য মহান আল্লাহতায়ালাসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। বিশেষ করে সাংবাদিকদের নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল ভাইয়ের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি। #