ষ্টাফ রিপোর্টার:-চট্টগ্রাম র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব)-৭ গোপন সুত্রের ভিত্তিতে গতকাল ১১ জানুয়ারী এক অভিযান চালিয়ে সিএমপির কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা এলাকা হতে আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ এলাকার চাঞ্চল্যকর হত্যাচেষ্টা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো. ফারুককে গ্রেফতার করেছে। বিষয়টি আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে র্যাব-৭।ধৃত ফারুক আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।র্যাব সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী আবুল বশর ও আসামি মো. ফারুক আনোয়ারার একই এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের মধ্যে বাড়ীর সীমানা নিয়ে বিরোধ ছল। গত ২১ এপ্রিলে২০২২ সালে আবুল বশরের পরিবার বাড়ীর সীমানায় বাঁশের বেড়া নির্মাণ কাজ শুরু করলে প্রতিবেশী মোঃ ফারুক এবং তার অন্যান্য সহযোগী মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে নির্মাণকাজে বাধা দিলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মোঃ ফারুক এবং তার অন্যান্য সহযোগী মিলে আবুল বশরের স্ত্রী এবং তার ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় তৈরী রামদা, কিরিচ দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।এই জঘন্য ঘটনায় আবুল বশর বাদী হয়ে ফারুক সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতমনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে আনোয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বিভিন্ন কারনে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে,র্যাব -৭ উক্ত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে।যার ফলে গতকাল র্যাব -৭ পলাতক আসামী ফারুককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার জানান,ধৃত ফারুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, সে জানায়, দীর্ঘদিন যাবত আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল ।তিনি আরো জানান , আধুনিক প্রযোক্তি সিডিএমএস পর্যালোচনা করে ধৃত আসামি মোঃ ফারুকের বিরুদ্ধে আনোয়ার থানায় ছিনতাই সংক্রান্তে ১টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়।গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আনোয়ারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।