1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ইজারাদারের পক্ষ থেকে এক বেলা খাবার ও গামছা উপহার পেয়ে আনন্দে ব্যবসায়ীরা রায়পুরা আতস আলী বাজারে জেলা পরিষদের সদস্য রাজিব আহমেদ জমি জবর দখলের চেষ্টা অভিযোগ আলী আসগর মোল্লা বিরুদ্ধে গাইবান্ধায় সুরবানী সংসদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন পঞ্চগড়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসকে ধ্বংস করেছে কেয়ারটেকার সরকারকে যখন নিষিদ্ধ করা হয় পঞ্চগড়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান অর্থের অভাবে চিকিৎসার খরচ চালাতে পারছে না সাংবাদিক মাসুদ ঘোড়াশালে ট্রাকের চাপায় যুবক নিহত, চালক আটক প্রত্যন্ত অঞ্চলে আবু তালেবের মানুষ গড়ার কারখানা  আর্থিক সাহায্য প্রদান করে, টুম্পাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিতে আকুল আবেদন পলাশবাড়ীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

ছয়দিন পর সূর্যের দেখা মিলেছে : মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বাঘ কাঁপানো ঠান্ডা, বিপর্যস্ত পঞ্চগড়

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার।। ঘন কুয়াশা আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহের দাপটে বিপর্যস্ত উত্তরের পঞ্চগড় জেলা । মাঘ মাসের একদিন বাকি থাকলেও বাঘের কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে দেশের এই সীমান্তবর্তী জেলা। আজ (রোববার ১৪ জানুয়ারী) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটা দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। দিনাজপুরে সর্বনিম্ন ৮দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টা তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে তাপমাত্রার রেকর্ডের তথ্যটি জানিয়েছেন জেলার তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। ছয়দিন পর পঞ্চগড়ে দুপুরে পর সুর্যের মুখ দেখা গেলেও তাপ ছড়াতে পারেনি। ু

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশায় আবৃত ভোর থেকেই। বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশার শিশির। একদিকে প্রচন্ড শীত, আরেকদিকে ঘন কুয়াশার আধার। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। পাথর-চা শ্রমিক, দিনমজুর, থেকে নানান শ্রমজীবী মানুষ। কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। প্রয়োজন ছাড়াও অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেড়িয়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবিরা। বিপাকে পড়েছেন চাষিরাও। তারাও ঠান্ডার প্রকোপের কারণে খেতখামারে কাজ করতে পারছেন না। শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মিলছে না প্রয়োজনীয় গরম কাপড় কাপড়। রাস্তায় চলা ভবঘুরে মানুষরাও পড়েছে শীত দূর্ভোগে।
সকালে পাথর শ্রমিক ফিরোজা খাতুন বলেন, কুয়াশা থাকলেও করার কিছু নাই ভাই। আমরা গরীব মানুষ। ঠান্ডায় তো পেটে ভাত দিবে না। গত দুইদিন ধরে কাজ করতে পারিনি। আজ বাধ্য হয়েই কাজে বেড়িয়েছি। কাজ করলে পেটে ভাত জুটবো।
দিন মজুর আয়নাল হক জানান, খুব ঠান্ডা। কিন্তু কি করবো। দিন মজুরী করে সংসার চলে। তাই কুয়াশা আর ঠান্ডার মধ্যেই কাজ করতে যাচ্ছি। কাজ না করলে চলমু কেমন করে।
ভ্যান চালক আলী হাসান বলেন, একদিকে ঠান্ডা, তার মধ্যে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে সহজে ভ্যানে চড়তে চায় না কেউ। তাই ভাড়া মারতে পারছি না। কয়েক দিন ধরেই ভাড়া নেই। গতকাল সারাদিনে মাত্র ৫০ টাকা ভাড়া মারছিলাম। এটা দিয়ে কি সংসার চলবে। কুয়াশার মধ্যেই সকালে ভ্যান নিয়ে বের হলাম। আল্লাহর রহমত থাকলে কামাই হবে।
এদিকে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগ। গতকাল জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নে তালহা নামের এক শিশু ডায়রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
জেলার প্রথম শ্রেনির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, আজও ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পঞ্চগড়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশার কারণে দেখা মিলছে না সূর্য। আজ সকাল ৯টায় ও ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা আর উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিকেল থেকেই আবার হিমেল বাতাস বইছে।
জেলার তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেনির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, আজ ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল পঞ্চগড়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশার কারণে দেখা মিলছে না সূর্য। তবে আজ রবিবার দুপুরের পর সূর্য দেখা গেলেও সে রোদে ছিল না উষ্ণতা। বিকেল থেকেই আবার হিমেল বাতাস বইছে। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সে অনুপাতে এ অঞ্চলে এখন শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে।
এদিকে, পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, শীত মোকাবেলায় জেলা উপজেলা প্রশাাসন উপহার হিসেবে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল ও দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত ২৮ হাজার কম্বল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আরো শীতবন্ত্র চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই আরো শীতবস্ত্র পাওয়া যাবে। আমরা এসব শীতবস্ত্র প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে গবীব, দুস্থ, অসহায়, ছিন্নমূল মানুষের মাঝে বিতরণ করেছি। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো শীত বন্ত্র বিতরণ করছে। #

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং