মোঃ মামুন হোসাইন,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃদেশজুড়ে জেঁকে বসেছে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত। দক্ষিণবঙ্গ পটুয়াখালী জেলায় ঘন কুয়াশায় রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দিন ও রাতে প্রায় একই রকম শীত পড়ছে।
জনজীবন তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। বরিশাল,পিরোজপুর, বাগেরহাট,ভোলা,বরগুনা ও পটুয়াখালী থেকে দৈনিক জনবাণী প্রতিবেদকও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বলছে, এ বছর শীতের কারণে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ঘর থেকে কম বের হচ্ছেন। ইতিমধ্য শ্রমজীবী মানুষের রুজি রোজগার ও আয় অনেকটাই কমেছে। সেই সাথে পটুয়াখালী জেলা হাসপাতালে শিশু ও প্রবীণ রোগীর ভিড় ক্রমাসি বাড়ছে।
পটুয়াখালী জেলার আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই তীব্র শীত আরও দু–তিন দিন থাকতে পারে এমনটাই বলা হয়েছে । এবং আরো জানায় চলতি ইং মাসের ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি আকাশ মেঘলা থাকবে সেই সাথে হতে পারে বৃষ্টি । বৃষ্টির পর আবার তীব্র শীতের প্রভাব থাকতে পারে। মাসের বাকি সময় থাকতে পারে তীব্র শীত। এ সময়ে দেশের দক্ষিণবঙ্গে বয়ে যেতে পারে শৈত্যপ্রবাহ আবহাওয়া ।
গত তিন দিন ধরে বরিশাল বিভাগে শীতের প্রকোপ অনেকটাই বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল মানুষের। তীব্র শীত আর এক টানা ঘন কুয়াশার কারণে পটুয়াখালীতে অনেকাংশ মানুষ জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তুষারাচ্ছন্ন বাতাস আর ঘন কুয়াশায়সহ হাড় কাপাঁনো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে এ জেলার মানুষ । তবে এরই মধ্য শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন কারণে রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। দিন মজুর পরিবারের মধ্য বয়সী ও বৃদ্ধরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে।পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে দেখা যায়, জেলার বাউফল , দশমিনা, দুমকি,মির্জাগঞ্জ , গলাচিপা,কলাপাড়া ও পটুয়াখালী সদর উপজেলা জুড়ে নেমে এসেছে উত্তর পশ্চিমের কনকনে বাতাস শৈত্যপ্রবাহ। প্রচণ্ড তীব্র শীত আর এক টানা ঘন কুয়াশার কারণে জেলা ও উপজেলা গুলোর জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন গুলো দুপুর পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল
করতে দেখা গেছে। শীতের প্রকোপে অভাব মানুষের জীবন বাঁচানোই দায় হয়ে পড়েছে। রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতা বুনিয়া গ্রামের মোঃ সাকুর আহমেদ এর পরিবার বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ । প্রতিদিন কাজ না করলে আমাদের সংসার চলে না। কয়েকদিন যাবত অতিরিক্ত ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাসের কারণে আমরা কাজে যেতে পারছি না। সরকারের পক্ষ থেকেও এই দীপ অঞ্চলের মানুষেরা কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। কলাপাড়া উপজেলার বাবলাতলা গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ রাশিদ উদ্দিন বলেন, আমরা প্রতিদিন ব্যবসা দিয়ে সংসার চালাই। তবে এই দুই তিন দিন ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে হাত পা অবশ হয়ে আসছে যার ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সকল প্রকার কাজকর্ম করতে পারছি না।
এদিকে গলাচিপা উপজেলা বকুল বাড়ীয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, দুই থেকে তিন দিন ধরে চলছে এই তীব্র শীত আর টানা ঘন কুয়াশার কারণে আমরা ক্ষেতে যেতে পারছি না এমনকি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে সেই সাথে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় ৷
পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক জানায়, তীব্র শীতের কারণে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগের রোগী বেশি দেখা দিয়েছে সেই সাথে সার্বক্ষণিক আমাদের উন্নত চিকিৎসা সেবা চলমান রয়েছে ৷
প্রকাশক/সম্পাদক :- শাওন আমিন।। ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক :- মোঃ গিয়াস উদ্দিন।। নির্বাহী সম্পাদক :- ঝড় আমীন।। প্রধান কার্যালয় :- হালিশহর, চট্রগ্রাম। মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২০৬১১৬৩ ঢাকা কার্যালয়:-বাসা নং ৫১/৩,ধানমন্ডি ৩/এ, ঢাকা।-১২০৯ মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২৪১৫৮৫৩,+৮৮০১৫৮০৮২০৬৬৩,+৮৮০১৭১২০৬১১৬৩
E-mail :- newszhor@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত. বাংলাদেশ হোস্টিং