পঞ্চগড় প্রতিনিধি।। পঞ্চগড়ের তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে। এ তাপমাত্রায় এ অঞ্চলে বইছে দ্বিতীয় দফায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল নয়টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এটাই এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
তিনি বলেন, এটি দ্বিতীয় দফার মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এর আগে গত ৩ জানুয়ারিতে এ জেলায় ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোর ও সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। তার আগের দিন রবিবার ১০ ডিগ্রি ও শনিবার ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। গতকালের সোমবারের তুলনায় ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রার পারদ নেমে এ জেলায় বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ভোর থেকে কুয়াশা ও হিমশীতলের বাতাসের কারণে তীব্রশীত অনুভূত হচ্ছে।
ভোর থেকে ঘন কুয়াশা। তবে কুয়াশা ভেদ করেই দেখা মিলেছে সূর্যের। তবে তাপ চড়াতে পারেনি। হিম বাতাসে ঝরছে শীতের পারদ। শহর ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু ও বৃদ্ধরা। লাগাতার শীতের কারণে দূর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। কাজকর্ম কমে যাওয়ায় দিন কাটছে অভাব-অনটনের ভেতর। প্রয়াজনের বাইরে শহরের অভিজাত মানুষজন ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষের শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে।
এদিকে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন। কামাই-রোজগার কমে যাওয়ায় অনেকে শীতজনিত রোগ বেড়ে যাওয়ায় টাকার অভাবে ঔষুধপত্র কিনতে পারছেন না অনেকে।
সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী জানান, শীতজনিত রোগ বালাই বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা। জেলা-উপজেলা হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকরা পচাবাসী খাবার পরিহার ও উষ্ণতা বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক মো. জহুররুল ইসলাম বলেন, শীত প্রবণ জেলা হিসেবে প্রতি বছর পঞ্চগড়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে পর্যাপ্ত কম্বল বিতরণ করা হয়। এবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৯ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শীতবস্ত্রে চাহিদা জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে জরুরি চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই শীতবস্ত্র পাওয়া যাবে। তাছাড়া সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। #
প্রকাশক/সম্পাদক :- শাওন আমিন।। ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক :- মোঃ গিয়াস উদ্দিন।। নির্বাহী সম্পাদক :- ঝড় আমীন।। প্রধান কার্যালয় :- হালিশহর, চট্রগ্রাম। মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২০৬১১৬৩ ঢাকা কার্যালয়:-বাসা নং ৫১/৩,ধানমন্ডি ৩/এ, ঢাকা।-১২০৯ মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২৪১৫৮৫৩,+৮৮০১৫৮০৮২০৬৬৩,+৮৮০১৭১২০৬১১৬৩
E-mail :- newszhor@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত. বাংলাদেশ হোস্টিং