ওঁরা ছিলো দুটি ফুল পালাশ শিমুল।
পাড়াপড়শি সবাই জানতো
ওঁদের প্রেম কাহানী,
কেউ কোনদিন ভাবেনি
ওঁদের এই লাইলী মজনুর মত প্রেম
হয়ে যাবে বিচ্ছেদ।
পলাশের সাথে দেখা করলে শিমুল
খেত বাবা মায়ের হাতে বেত্রাঘাত।
দুই-এক দিন খেতো না ভাত,
কারণ হলো পলাশের জাত।
পলাশ ছিলো গরীবের ছেলে,
শিমুল উচ্চ সরকারি কর্মকর্তার মেয়ে।
কোন না কোন ভাবে হতোই ওঁদের দেখা,
এক মহল্লা বলে কথা।
অলিগলিতে হাত ধরাধরি মিষ্টি দুটি মুখ
এসব দেখে অনেকের হত মায়া,
দিতো কেউ কেউ আগলে রেখে ছায়া।
এভাবে চলতে চলতে একদিন হঠাৎ খেলো
ওঁদের প্রেম হোঁটচ,
বন্ধ হল চিরতরে মুখ দেখাদেখি
জোর করে বাবা দিল শিমুলকে বিয়ে,
দু’জনার মুখ দেখাদেখি বন্ধ হলো চিরদিনের জন্য। শিমুলকে হারিয়ে পলাশ শূন্য,
শৈশবের এই সরল প্রেম হলোনা পূর্ণ।
আজ খুব ইচ্ছে হল ওঁদের নিয়ে কিছু লিখতে
এসব দেখে তোমরাও যদি কিছু শিখতে।
বুকের জমাট বাঁধা কষ্টগুলো হত দূর
গাইতে মন খুলে আনমনে দিতে তুলে সুর।।