তুমি নারীর জন্য কাঁদছো
ঘৃণায়, বঞ্চনায় এবং আক্ষেপে
তোমার দুটো চোখ দু’রকম
একটি তে গভীর প্রেম সন্তরণ
অন্যটিতে সম্মোহনী কাম।
বৈঠা টানো দুই নদীতে
দহন জ্বালো কৃষ্ণবর্ণ ঠোঁটে।
তোমার দুটি চোখ দু’রকম
একটি তে জ্বলে অজস্র নক্ষত্র
অন্যটিতে বিষণ্ণ মহাকাশ।
সমাজতন্ত্র, বিপ্লব আর কাস্তে কোদালে তুমি প্রলেতারিয়েত
গোর্কি এবং লোরকা বুকে চেপে আছে পাষাণ।
প্রাচীর তুলেছো আকাশচুম্বী একটি লৌহবর্মে।
মধ্যরাতে ভ্লাদিমির গমগম করে নিউরনে।
কখনো মাও সে তুং , কখনো চে
চায়না থেকে বলিভিয়া, পেত্রগ্রাদ থেকে কালুরঘাট
১৯১৭ থেকে ১৯৭১
তোমার ওষ্ঠ মৃত্যুশীতল লেলিনগ্রাদ।
দু’রকমের দুচোখে বিপ্লব এবং নারী
বুকের ক্যানভাসে কান্নার গ্রাফিতি
বুর্জোয়া! বুর্জোয়া বলে চিৎকার করতে করতে
মধ্যরাতে নি:সঙ্গ শয্যায় একটি নারীকেই অন্বেষণ করো
যেন সদ্য ভেঙে যাওয়া চশমাটি কে-ই খুঁজছো আকুল।
শিশুর ও অধিক একটি শিশু হাত বাড়িয়ে অধরা স্বপ্নে!
তোমার দু’রকম দুচোখ একটি বিন্দুতে
মিলিত হয়ে খুলে দিলো অপঠিত একটি শূন্য উপন্যাস।
একটু মমতা স্পর্শের আকুলতায়
ভেসে গেল শ্লোগানের সব দাবী
হৃদয়ের কাছে লুটিয়ে পড়লে চিরকালীন সফল পুরুষ
কোমলতার কাছে নতজানু মহান প্রলেতারিয়েত,
তুমি প্রেমে পড়েছো!
ভালোবেসেছো এক “অসম্ভব “