এস এম মনিরুজ্জানান আকাশ পাবনা থেকেঃপাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের দিঘুলিয়া গ্রামে গত ২৫শে জানুয়ারী দিবাগত রাতে সংঘটিত জোড়া (মা ও ছেলে) খুনের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পাবনা জেলা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, পিবিআইসহ প্রশাসনের আন্তরিক জোর তৎপরতায় পাবনা সহ গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় চোরাইমাল উদ্ধার ও খুনের কুল কিনারা করতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে গোপনে অভিযান অব্যাহত রাখে। আন্তরিক তৎপরতা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মালএশিয়া প্রবাসী আব্দুর রশিদের স্ত্রী নিহত লাবনী খাতুন ও পুত্র রিয়াদ হোসেনকে খুনের সাথে জড়িত আসামী পার্শ্ববর্তী ধুপুলিয়া গ্রামের মোঃ মোজাম আলী বুশের ছেলে
১)মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২৭) ও (২)মোঃ হোসেন আলী (৩৫)
৩) মোঃ হুমায়ন মিজী ওরফে হৃদয় (২৮) পিতাঃ মোঃ মোস্তফা মিজি, গ্রামঃ খানখানাপুর দত্তপাড়া,
থানা ও জেলাঃ রাজবাড়ী।
উল্লেখ্য হুমায়ন মিজির নামে থানায় দস্যূতা, চুরি সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আসামী হোসেন আলী ও নিহত লাবনী খাতুন একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় ভিকটিম লাবনীর গতিবিধি লক্ষ্য করতো ও অপারেশন পরিচালনার জন্য ছক কষতে থাকে।
সুদীর্ঘ ৭ বছর মালএশিয়া প্রবাসে থাকা আব্দুর রশিদের স্ত্রী পাকা বাড়ী করার জন্য সম্প্রতি পঁচিশ হাজার ইট নিয়ে আসেন বাড়ীতে। রড ও সিমেন্ট কেনার জন্য টাকা উত্তোলন করতে ঘন ঘন ব্যাংকে যাতায়াত করতে থাকেন! কিন্তু ব্যাংকে হিসাবে জটিলতার কারনে টাকা উত্তোলনে সমস্যা হওয়ার কারনে ভিকটিম লাবনী ব্যাংকে দৌড় ঝাপ করতেন। আসামী হোসেন আলী নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষন করে ছক কষে পঁচিশে জানুয়ারী দিবাগত রাতে ধৃত তিনজন আসামী অভিযান পরিচালনা করে।
তারা গাছ বেয়ে উঠে বাড়ীর ভেতরে প্রবেশ করে। টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকতে চেষ্টা করলে ভিকটিম টের পেয়ে ঘরের বাইরে আসলে উৎপেতে থাকা অবস্থায় ভিকটিমকে ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধে লাবনী খাতুন কে হত্যা করে।
নিহত রিয়াদ (১০) কান্নাকাটি করলে আসামী সাদ্দাম তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ীর অদুরে পুকুরের পাড়ে গাছের সাথে গলায় মাফলার পেচিয়ে ঝুলিয়ে রাখে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য।
আসামী হোসেন ও হুমায়ন মিজি হৃদয় ভিকটিম লাবনীর কোমড়ে থাকা চাবি নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে স্টিলের টাংকে থাকা সোনার চেইন, হাতের বালা, দুই জোড়া রুপার পায়েল নুপুর, কানের স্বর্ণের দুল, কানে থাকা স্বর্ণের রিং নিয়ে অপর আসামী সাদ্দামের সাথে দেখা করে।
রাত তিনটার দিকে গোপালগঞ্জ সাদ্দামের শ্বশুড় বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। তিনজন দূর্ধর্ষ ছিনতাইকারী টাকা ও স্বর্ণের লোভে দুটি নিরীহ তাজা প্রাণ কেড়ে নেয়।
উল্লেখ্য যে, আসামী সাদ্দাম হোসেন গত ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে পাবনা জেলার চাটমোহর থানার ফৈলজানা ইউনিয়নের কৈলমহল গ্রামে আটঘড়িয়ার অটোড্রাইভার ইসমাঈল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা ও অটো ছিনতাই মামলার মুল আসামী, সে দীর্ঘদিন যাবত পলাতক ছিলো।
আটককৃত আসামীদের কাছ থেকে জব্দকৃত আলামত ও মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
১)এক জোড়া হাতের বালা, ২)স্বর্ণের চেইন(১২আনা),
৩) এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল (৬আনা)
৪) এক জোড়া স্বর্ণের কানের রিং, ৫) রুপার পায়েল,
৬) দুই জোড়া রুপার নুপুর (৮ ভরি)
৭) ৩০,০০০ নগদ টাকা, ৮) তিনটি মোবাইল ফোন আসামীদের ব্যবহৃত, ৯) টিন কাটার কাঁচি, ১০) হত্যায় ব্যবহৃত মাফলার ও ওড়না।
এই হত্যাকান্ডে চাটমোহর থানায় নিহত লাবনী খাতুনের বড় ভাই ২৬-০১-২০২৪ ইং তারিখে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর অধীনে ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় হত্যা মামলা (মামলা নং ২২) রুজু করেন।
পুলিশ সুপার মোঃ আকবার আলী মুনসী মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন)
মোঃ মাসুদ আলম এর তত্বাবধানে ও ওসি(ডিবি) ইমরান মাহমুদ তুহিন, ওসি (নিরস্ত্র) বেনু রায়, কং মোঃ রিমন হোসেন পিপিএম(জেলা গোয়েন্দা শাখা,পাবনা) সহ সঙ্গীয় অফিসার্স ফোর্স ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক(নিরস্ত) মোঃ গোলাম রসুল সহ মুল ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন ও প্রকৃত আসামীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
এলাকায় জন সাধারনের মাঝে আতংকের রেশ কেটে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে। সাধারন জনসাধারন পুলিশের প্রতি আরো আস্থাশীল হয়েছেন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রকাশক/সম্পাদক :- শাওন আমিন।। ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক :- মোঃ গিয়াস উদ্দিন।। নির্বাহী সম্পাদক :- ঝড় আমীন।। প্রধান কার্যালয় :- হালিশহর, চট্রগ্রাম। মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২০৬১১৬৩ ঢাকা কার্যালয়:-বাসা নং ৫১/৩,ধানমন্ডি ৩/এ, ঢাকা।-১২০৯ মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২৪১৫৮৫৩,+৮৮০১৫৮০৮২০৬৬৩,+৮৮০১৭১২০৬১১৬৩
E-mail :- newszhor@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত. বাংলাদেশ হোস্টিং