ঐ হুনতাছ?
হুনছ নি?
বেবাক দুইন্না তুমারে লইয়া নানান কতা কয়।
তুমারে কয় অপ্সরী, পরী।
আমি বাল আবাল মানুষ।
জীন পরী দেহি নাই কহনো।
আমি আমার ছুডু দুইন্নায় দেখছি খুব কম।
মাঠ পারাইয়া ঐ যে দূরের বিল।
বিল পারাইয়া ঐ যে দূরের গাঁও।
হেই গাঁওয়ের নাম ঠাকুরগাঁও।
ঠাকুর ঘরের লগেই নিশ্চিন্তাপুর।
চিন্তা ভাবনা ফেইলা হোনে থাহে মানুষ গুলান।
আমি আবাল হেই মানুষগুলারে চিনি।
ভালা পাই।
দিলের কাঙ্খে শীরিষ গাছের তলে যোগী হইয়া আমি তো জপ করি।
জীন পরী দেও দানো সব তুমার রুপের কাঙ্গাল।
আমি আবাল তোমার চোক্কে চাইয়া চাইয়া নিশ্চিন্তাপুরে স্বপন আহি।
এই যে হুনছ?
আমার কলম ডর লাগেনা এক্কেরে।
ঐ যে দূরের চাইর রাস্তার মোড়।
তোমারে না পাইলে ঐ হানে টেরাফিক পুলিশ হমু।
নবশ্রী হুডেলের চায়ের ধুয়া হমু।
আমি সন্তোষ দাদুর আলু সিঙ্গারা হমু।
আমি মানিক খাঁয়ের কাপড় দোকান হমু।
আমি আবাল ইসমাইল দাদুর রুগীর চেম্বার হমু।
আমি আবাল ভাতুয়া দাদুর ভাতের ফেন হমু।
আমার মতন আবাল গোওসিয়া খানের হুডেলের গেডে ভিখারি সাজুম।
মোহাম্মদ আলীর কব্বরের পাখুর গাছে বইসা আমি তুমারে লইয়া ভাবুম।
আমারে নিশ্চিন্তাপুরে আইসা এড়াইতে পারবা কেম্নে?
আমি হুগান টাঙ্গনেও আছি।
জাঠিভাঙ্গা বধ ভূমিতেও আছি।
আমি মুক্তি ফোজের বেয়নটে আছি।
আমি রাজাকারের কলিজার কাঁপনেও আছি।
আমি আমি আছি মৌটুসী পাখির ঠোঁটের জান্টুসী শব্দ হইয়া। ,,,,,,,
এই হুনছ?
হুনছনি জান্টুসী?