ষ্টাফ রিপোর্টার :-সিনিয়র জার্নালিস্টস ফোরাম, চট্টগ্রাম এর আহ্বায়ক কমিটির সভা ফোরামের আহ্বায়ক ও ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিলস্ নির্বাহী পরিষদ ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাবেক সদস্য মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি স.ম. ইব্রাহিমের সঞ্চালনায় আজ ৭ ফেব্রুয়ারি ( বুধবার) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত সভায় ফোরামের খসড়া ঘোষণাপত্র পেশ করেন ফোরামের যুগ্ম সদস্য সচিব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাশ। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি সুলতান আহমদ আশরাফী, চট্টগ্রাম ফটো সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি দেবপ্রসাদ দাশ দেবু, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক কোষাধ্যক্ষ জামালুদ্দীন ইউসুফ, প্রবীণ সাংবাদিক একেএম কমরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রবীণ সাংবাদিক মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত বলেন, সংগঠন গড়ে মানুষের সেবা ও উপকার করতে হলে উদার চিত্তের প্রয়োজন হয়- সংকীর্ণমনা, হিংসুক ও ইর্ষাপরায়ণ ব্যক্তিরা তা পারে না। তিনি সমাজের সর্বস্তরের সকলকে প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রবীণ নাগরিকদের সেবায় উদার মন নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বার্ধক্যের বাস্তবতা এড়িয়ে যাবার উপায় নেই। একদিন স্বাভাবিক নিয়মেই সবাইকে প্রবীণ হতে হবে। প্রবীণদের নানা সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সমাজ গঠনমূলক ও পেশাগত কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা গেলে তারা সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন। সাথে সাথে জাতীয়, সাংবাদিকতা ও মনোবৃত্তি উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবেন। জীবন সায়াহ্নে মর্যাদার সাথে প্রবীণদের, প্রবীণ সাংবাদিকদের পরিচর্যা ও কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র, সমাজ ও পেশাজীবী সংগঠনের অবশ্য কর্তব্য। তিনি বলেন, দুষ্ট চক্রের কবল থেকে মুক্তি এবং প্রবীণদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পথ বের করতে হবে সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টায়। আজকের প্রবীণরাই আমাদের তরুণদের জন্ম দিয়েছেন, প্রতিপালন করে বড় করেছেন আর গড়ে তুলেছেন এই আধুনিক সমাজ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী প্রবীণ ব্যক্তিরা ক্রমবর্ধমান হারে বঞ্চিত, অবহেলিত, নির্যাতিত ও বৈষম্যের শিকার। প্রবীণদের প্রতি আন্তরিকতা, মমত্ববোধ, শ্রদ্ধা বাড়াতে হবে। প্রবীণরা সাধারণতর যাটোর্ধ্ব বয়সের হয়ে থাকেন। তারা কর্মজীবনে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হন। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে তাদের মতামত খুবই কার্যকর। দেশে ৬৫ বৎসরের বেশী বয়সী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। ইউনিসেফ আগামী ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ প্রবীণ প্রধান দেশে পরিণত হবার আভাস দিয়েছে। জাতি সংঘের এই প্রতিষ্ঠান বলেছে, অর্থনীতিতে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর বাড়তি সুবিধা পাওয়ার সুযোগ বাংলাদেশে ধীরে ধীরে কমে আসছে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে মানুষের শারীরিক ও মানসিক বৈকল্য সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় তার অস্তিত্ব বোঝার মত আর বেঁচে থাকাটা অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায়। অনেকটা অবহেলা-অযত্নের মধ্যেই তাকে মৃত্যুর প্রহর গুণতে হয়। কাজেই এমন পরিস্থিতি এড়াতে প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। প্রবীণরা শারীরিকভাবে দুর্বল হলেও বুদ্ধিতে পরিপক্ক। করুণা নয়, ভালবাসা ও সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রবীণদের সেবায় সকল নাগরিকদের উৎসর্গ করতে হবে।