1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
মাধবদীতে আদালতের রায় তামিল করতে গেলে হামলা, ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের ওপর চড়াও ভূমিদস্যুরা – ২ জন আটক আটোয়ারীতে রাস্তার সিসি ঢালাইয়ে অনিয়ম, সাংবাদিককে হুমকি এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দিলেন নীলা ইসরাফিল হরিপুরে শেয়ালের কামড়ে আহত-৭ পলাশবাড়ীতে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে নারিকেল চারা বিতরণ ভাঙ্গাচোরা ঝুঁপড়িতে থাকা সেই বৃদ্ধাকে নতুন ঘর উপহার দিল জামায়াতে ইসলামী রায়পুরায় বন বিভাগের ২৬ শতাধিক গাছ কেটে অফিসার্স ক্লাব নির্মাণ, সমঝোতার চেষ্টা চলছে জাতীয় শুদ্ধচার পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য পলাশবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ।।জনগণের সেবার লক্ষ্যে ১৮ ঘন্টা কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন অথৈজল চতুর্দিক // রিতু নুর পীরগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ী দম্পতির বিরুদ্ধে ৬৩৮ জনের গণআবেদন

বিশ্ব  বেতার দিবস: আমার বেতার সাংবাদিকতা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২২৩ বার পড়া হয়েছে

শহীদুল ইসলাম শহীদ,পঞ্চগড় ।। আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব বেতার দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘শতব্দী জুড়ে তথ্য, বিনোদন ও শিক্ষা বিস্তারে বেতার’। স্মৃতি হাতড়িয়ে লেখা। ভুল হলে সংশোধন করবেন। সমালোচনা নয়।
দেশের সবচেয়ে পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ বেতার। বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠানসমূহ তরঙ্গ সম্প্রচারের পাশাপাশি অনলাইন প্রচারেও সর্বোচ্চ পেশাগত মান বজায় রাখা হচ্ছে। বাংলাদেশ বেতারের আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ বর্তমান সরকার ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
১৯৩৯ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বৃটিশ শাসনামলে বাংলাদেশ বেতারের যাত্রা শুরু হয় অল ইন্ডিয়া রেডিওর ঢাকা কেন্দ্র হিসেবে। নাম হয় ঢাকা ধ্বনি বিস্তার কেন্দ্র। নাজিমুদ্দিন রোডের যে ভবনে বর্তমানে শেখ বোরহানউদ্দিন কলেজ অবস্থিত, সেখানে ঢাকা ধ্বনি বিস্তার কেন্দ্রের সম্প্রচার স্টেশন স্থাপন করা হয়েছিল। পরে কেন্দ্রটি শাহবাগে স্থানান্তর করা হয়। পাকিস্তান আমলে এর নাম ছিল রেডিও পাকিস্তান। সুদীর্ঘ যাত্রাপথে ঐতিহ্যবাহী গণমাধ্যমটি দেখেছে বৃটিশদের ভারত ত্যাগ তথা ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে উপমহাদেশে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম, পাকিস্তানি শোষণ এবং বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র নামে বাংলাদেশ বেতার মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে পরিণত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সেই লক্ষ্যেই সারা দেশের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের নানাবিধ কর্মসূচির সঠিক তথ্য তুলে ধরে উন্নত দেশের রূপরেখা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বেতার অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ বেতার দেশের সর্বপ্রাচীন ও সর্ববৃহৎ গণমাধ্যম। অ্যাপের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সীমানা পেরিয়ে সারা পৃথিবী থেকে এখন বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্র থেকে তাদের অনুষ্ঠান শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশ বেতার বিভিন্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শ্রোতাদের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে শিক্ষা, তথ্য ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রামীণল জনপদের মানুষের সুখ-দু:খের সঙ্গী হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে বেতার একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সব ধরণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং স্বতন্ত্র বিষয়বস্তু মিডিয়া বৈচিত্র্যের অন্যতম অনুসঙ্গ। স্বাধীন গণমাধ্যম দেশ ও জাতির কল্যাণ ও মুক্তির আলোকবর্তিকা হিসেবেই দেখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী মনে বিশ^াস করেন আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই দেশে গণমাধ্যমের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। দুর্যোগের এই সময়ে সঠিক বার্তা, দিকনির্দেশনা, সর্বোপরি করোনা মোকাবিলায় সরকার গৃহীত নানা উদ্যোগ এবং এই মহামারি থেকে সুরক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে এসেছে বেতার, অর্জন করেছে আস্থার জায়গা। বাংলাদেশ শুধু নয় সারাবিশ্বে বেতার এখনও অন্যতম জনপ্রিয় গণমাধ্যম। বেতারের রয়েছে পৃথিবীর দুর্গম স্থানে পৌঁছানোর শক্তি। তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রসারের ফলে সম্প্রচার জগতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। গ্রামগঞ্জ ও দুর্গম এলাকায় এষনও বেতার তথ্য আদান-প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম।
অন্যদিকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ বেতার ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের অপরিহার্য সঙ্গী। বাংলাদেশ বেতার মুক্তিযুদ্ধে দেশে বীর সেনাদের অন্যতম এক অনপ্র্রেরণার মাধ্যম। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বেতার কেন্দ্র।যুদ্ধের সময় এটি হয়ে যায় স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র। আর সাফল্যের পর সাফল্যের খবর শুনিয়ে সহজেই কেড়ে নেয় মুক্তিকামী মানুষের মন। মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় ফ্রট নামে খ্যাত ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ ছিল বাঙালি জাতির ,মুক্তি সংগ্রামের এক বলিষ্ঠ প্রচার কান্ডারি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত কালজয়ী গান ও অুষ্ঠানগুলো একদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবলকে শক্তিশালী করেছে, অন্যদিকে দেশের জনগণকে স্বাধীনতার দিকে অনুপ্রাণিত করে।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ পাকিস্তানী স্বৈরশাসকের বাঁধার মুখে ৮ মার্চে বেতারে প্রচার করা, মুক্তিকামী বাঙালিকে উদ্বুদ্ধকরণ এবং সর্বোপরি স্বাধীনতা অর্জনে বাংলাদেশ বেতার সবসময় এদেশের জনগণের পাশে থেকেছে। বাংলাদেশে কমিউনিটি রেডিওর সাফল্যও অনেক। দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র বাংলাদেশে কমিউনিটি রেডিও বিষয়ক একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। এক হাজার জন যুব নারী ও যুবকের অংশগ্রহণে নতুন ধারার এ গণমাধ্যমটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কিন্তু বাংলাদেশ বেতারের একটি মহল বেতার সাংবাদিকদের অবমূল্যায়ন করছে। বেতার সাংবাদিকদের সম্মানী কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে বরাদ্দকৃত বাজেটের মধ্যে সব কিছু করতে হবে। প্রয়োজনে ছাঁটাই। যা খুবই দু:খজনক। আগে বরাদ্দ না থাকলে সম্মানী প্রদান বন্ধ থাকতো। কিন্তু বরাদ্দ এলেই বকেয়া দেওয়া হতো। কিন্তু এবার সে সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যা বাজেট এর মধ্যেই দিতে হবে। ফলে বার্তা বিভাগে কর্মরতদের সম্মানী কমে এসেছে এক তৃতীংশে। বলা হয়েছে বকেয়া দাবি করা যাবে না। বাজেট বরাদ্দেই চালাতে হবে। এতে বার্তা বিভাগে কর্মরতরা মানবেতন জীবন যাবন করছে। তবে বিটিভিতে কোন পরিবর্তন হয়নি। বিটিভির বার্তা বিভাগে কর্মরতদের সম্মানী কমেনি। কমিয়ে দেওয়া হয়েছে. বেতারে। বিটিভির জেলা সংবাদদাতারা ঠিকই সম্মানী পাচ্ছেন। ব্যতিক্রম বাংলাদেশ বেতার। নিউজের আকার প্রকার ভেদে সম্মানী দেওয়া হয়। তবে একটা সর্বোচ্চ সিলিং থাকে। একই মন্ত্রণালয়ের দুটি বিভাগে দুরকমের নিয়ম বড়ই বিষ্ময় লাগে?
এর আগে পঞ্চগড়ের বেতার-টিভির সাংবাদিকতা নিয়ে লিখেছিলাম। আজ আর সেসব নিয়ে নতুন করে লিখতে চাইনা। সৈয়দপুরের আমিনুল হক ছিলেন এ অঞ্চলের বেতার সাংবাদিকতা পথিকৃত। তিনিই আমাকে বেতার সাংবাদিকতা নিয়ে আসেন। বয়সের কারণে তিনি বাদ পড়েন। ১৯৯২ বা ৯৩ সালে আমি বাংলাদেশ বেতারের পঞ্চগড় সংবাদদাতা হিসেবে যোগ দেই। তখন ছিলাম রংপুর বেতারের অধীনে। সেখানে ছিল হালিম সাহেব আমাদের বার্তা বিভাগের প্রধান। এক সময় নজরুল সাহেবকে পেয়েছিলাম। অসাধারণ মেধাবী এই দুই কর্মকতা। হালিম সাহেব অবসরে। আর নজরুল সাহেব শুনেছি এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্ক্রিপ্ট রাইটারের দায়িত্বে আছেন। আমি আসলে কেউ মানুক আর নাই মানুক আমি পঞ্চগড়ে বেতার-টিভির সাংবাদিকতায় দ্বিতীয় জন। আমাকে পাঠানো হলো জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউটটে (নিমকো) দুই সপ্তাহের আবাসিক বেতার টিভির সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণে। সেখানে ভালো একটা প্রশিক্ষণ শেষ হলো। ছিলেন আবু তৈয়ব সাহেব। সেখানে বেতার টিভির সাংবাদিকদের মধ্যে ছিল ১৬ বা ১৮ জন জন। আমি তাদের মধ্যে একজন ছিলাম। প্রশিক্ষক ছিলেন বদরুল সাহেবসহ কয়েক জন। অসাধারণ সেই প্রশিক্ষণ। এমন একটা প্রশিক্ষণে বদলে গেল আমার বেতার টিভির সাংবাদিকতা। যদিও সরকার নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় বাংলাদেশ বেতারে সেভাবে সংবাদ পরিবেশন করা যেতো না। আট জেলা ছিল তখন রংপুর কেন্দ্রের অধীনে। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিভিশনের ঠাকুরগাঁও সম্প্রচার কেন্দ্রটি উদ্বোধন করতে এসেছিলেন। এ উপলক্ষে ওইসময় তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ তিনদিন আগে থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান করছিলেন। এসময় স্থানীয় সাংস্কৃতিকর্মীরা তাঁর সাথে সাক্ষাত করে ঠাকুরগাঁও বেতারের সম্প্রচার কেন্দ্রটিকে পূর্ণাঙ্গ বেতার কেন্দ্র হিসেবে চালু করার দাবি জানান। তিনি বেতার কেন্দ্রটি পরিদর্শন করে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানাবেন বলে আশ্বাস দেন। টেলিভিশনের ঠাকুরগাঁও সম্প্রচার কেন্দ্রটি উদ্বোধনের পরে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁও বেতার কেন্দ্রটিকে পূর্ণাঙ্গ বেতার কেন্দ্র হিসেবে চালু করার ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ তৎকালীন সরকারের তথ্যমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ প্রাথমিক ভাবে ২ ঘন্টার স্থানীয় অনুষ্ঠান প্রচার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ক্রমান্বয়ে তা বৃদ্ধি পায়। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমি আর হুমায়ূন কবীর মজুমদার উপস্থিত ছিলাম। পরে হুমায়ূন ভাই অডিশন দিয়ে সংবাদ পাঠক হিসেবে তালিকাভূক্ত হন। পরে তিনি সংবাদ পাঠক ও অনুবাদক হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানেও তিনি এ দায়িত্ব পালন করছেন।
২০০৭ সালের ৩১ জুলাই ঠাকুরগাঁও বেতার কেন্দ্রে নিউজ চালু হয়। আমরা চার জেলা দিনাজপুর, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় ঠাকুরগাঁও বার্তা বিভাগের অধীনে চলে আসি। তখন বার্তা বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন মোল্লা আব্দুল হালিম সাহেব। তিনি অডিও ভিক্তিক সংবাদ প্রতিবেদন চালু করেন। সে সময় আমার কন্ঠে অনেক অডিও প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। ধীরে ধীরে ২৪ ঘন্টায় চারটি বুলেটিন প্রচার শুরু হয়। বাড়ানো হয় ঠাকুরগাঁও নগরসহ কয়েকটি উপজেলায় সংবাদদাতা নিয়োগ করা হয়। উনার পরে আরো ২/১ জন স্বল্প সময়ের জন্য এসেছিলেন বার্তা বিভাগে। কিন্তু সেভাবে সর্ম্পক বা পরিচয় গড়ে উঠেনি। আসেন স্মৃতি রানী সরকার। অসম্ভব অসাধারণ একজন পেশাদার বার্তা বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি চালু করেন সরাসরি ফেসবুকে সংবাদ প্রচার। তিনিই চালু করেন সচিত্র সংবাদ প্রতিবেদন প্রচার কার্যক্রম। উনি বদলী হলেন রংপুরে। অত্যন্ত গোপনে তিনি ঠাকুরগাঁও বার্তা কেন্দ্র থেকে চলে গেলেন। কাউকে না জানিয়ে। যা আমাকে ভীষণ পীড়া দিয়েছে। ফোন করলেও তিনি আর ফোন ধরেন নি। উনি চলে যাবার পর রশেদ ফয়সল কবীর যোগ দেন বার্তা বিভাগে। তিনি অমায়িক, সদালাপী এক ভদ্র মানুষ হিসেবে সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি যোগ দিয়েই একটা বড় ধাক্কায় পড়েছেন বার্তা বিভাগের কর্মরতদের সম্মানী ভাতা নিয়ে। বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক মহোদয় যা বরাদ্দ দিয়েছেন তা দিয়েই বছর চালাতে হবে। প্রয়োজনে ছাঁটাই করতে হবে। তিনি সকলের সাথে আলোচনা করে ছাঁটাই না করে সম্মানী কমিয়ে দিলেন।
আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর সংবাদ প্রচার জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও বাংলাদেশ বেতার কর্তৃপক্ষ বার্তা বিভাগের অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করে দিলেন। বড়ই আপসোস বাংলাদেশ বেতারের একজন প্রবীণ গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে।
লেখক: বাংলাদেশ বেতারের পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা ও একজন প্রবীণ গণমাধ্যমকর্মী

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং