শহীদুল ইসলাম শহী,পঞ্চগড় ।।পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের সবুজ শ্যামল বটমূলে শুরু হলো বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে কলেজে চত্বরে দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদন্য নাঈমুজ্জামান ভুইয়া মুক্তা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর লুৎফর রহমান প্রধান। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দেলওয়ার হোসেন প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক গোলাম রহমান প্রধান। শিক্ষক পরিষদের সভাপতি আব্দুর রশিদ, অনুষ্ঠান কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক এহতেশামুল হক ও আন্দালিব এহসান দোলা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তোয়বুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, নারী মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া বেগমসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। কলেজের শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। পরে প্রধান অতিথি ফিতা কেটে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি মুক্তা বলেন, আজ পয়লা ফাল্গুন। বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসন্তকাল ঋতুরাজ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত। প্রকৃতিতে আজ নানান রকমের ফুল ফুটেছে। শিমুল পলাশের মাস। ঋতুরাত বসন্তের প্রথম দিনেই আমাদের মন প্রেমিক হয়ে উঠে। নানান রকমের অপসংস্কৃতির মধ্য থেকে বাঙালির মূলধারার যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আমাদের শেখড়ের মধ্যেই ফিরে যেতে চাই। এটাই আমার সকলের প্রতি প্রত্যাশা।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই কলেজে ৭/৮ হাজার শিক্ষার্থী। কিন্তু উপস্থিতি খুবই কম। কেন শিক্ষার্থীরা শ্রেনিকক্ষমূখী নয় তা খুঁজে বের করতে হবে। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিতে ফিরিয়ে আনতে তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব নিতে বলেন।
পিঠা উৎসবে নানান বাহারি ও স্বাদের পিঠা নিয়ে কলেজ চত্বর জুড়ে ২০টি স্টলে সাজানো ছিল। কলেজের বিভিন্ন শিক্ষার্থীর এসব স্টলে জামাই পিঠা, লিছু পিঠা, মালপোয়া, ঝিনুক পিঠা, সুন্দরী কমলা, ননিয়া পিঠা, তেল পিঠা, বিস্কুট পিঠা, কদম পুলি, বোজড়া পিঠা, কাকড়া পিঠা, তানপড়া পুরি, শাহি ভাপা পিঠা, দুধ পিঠা, দুধ পুলি, গাজর পিঠা, গোলাপ পিঠা, সবজি পিঠা, গাজর হালুয়া, গাজরের লাড্ডু, ভাজা কুলি, পঞ্চবাহার, সেমাই পিঠা, কস্তুরি পিঠা, রঙবাহার, জামদানি পিঠা, মিষ্টি বড়া, মিষ্টি পুলি, নকশি পিঠা, ভেজানো নকশি, নকশি দোপাটি, দুধ চিতই, ঝাল পুলি গরুর মাংসের সমুচা, মুরগির মাংসের সমুসা, ছানার পুলি, পাটিসাপটা, নারিকেলের তিল পুলি, ক্ষীরে ভরা পাটিসাপটা, সুজির পোয়া পিঠা, নারিকেলের নাড়ু, নকশি পিঠা, কলা পিঠাসহ প্রায় ১৫০ রকমের সুস্বাদু পিঠা ছিল।
অনুষ্ঠান ও পিঠা উৎসব প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত চলবে এবং সবার জন্য উম্মুক্ত থাকবে উৎসব। #