নিজস্ব প্রতিবেদক।।পটিয়া উপজেলার কচুয়াইয়ের প্রান্তিক ও পরিত্যক্ত একটি চা বাগানেই গড়ে উঠেছে স্বপ্ননগর বিদ্যানেকতন নামে একটি স্কুল। স্কুলটি পুরো দেশে আলোড়ন ফেলছে। শুক্রবার ছিল স্বপ্ননগর বিদ্যানিকেতনের ‘ইশকুল সম্মিলন’।
সকালে শহর থেকে শিক্ষক, নাট্যকার, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, আইনজীবী, সাংবাদিক নানা শ্রেণি পেশার মানুষজন এই পাহাড় ঘেরা জনপদে উপস্থিত হন।
বসন্তের ঝিরি ঝিরি বাতাস জানান দিচ্ছিল ভিন্নধর্মী এক প্রাণের উচ্ছ্বাসের। স্কুল প্রাঙ্গণের প্রবেশদ্বারে দেখা গেল বড় সূর্যমুখী ফুল। এই সূর্যমুখী কাগজের তৈরি হলেও বোঝার উপায় ছিল না। সকাল থেকেই স্কুল প্রাঙ্গণে আসা সকলেই দেখতে থাকেন শিক্ষার্থীদের হাতে গড়া নানা প্রদশর্নী। যার মধ্যে ছিল ‘দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের চলাচল সহজীকরণ’। এটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে স্থানীয়ভাবে পাওয়া বিভিন্ন উপাদান। আরেকটি প্রজেক্ট প্রদশর্নীতে দেখানো হয়েছে কিভাবে মঙ্গল গ্রহে বসবাস করা যায়, সেখানে বাস করতে যেসব বাধা রয়েছে সেগুলো কিভাবে ডিঙিয়ে যাওয়া যায়। স্কুলের মাঠেই তৈরি করা হয় মূল মঞ্চ।
মঞ্চটি দারুণ সাজে সজ্জিত। মঞ্চটিতে শৈল্পিকতার এক অনন্য স্বাক্ষর রেখেছে স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। আর এই মঞ্চেই সারাদিন তারা কবিতা, নাটক, সঙ্গীত, আবৃত্তি ইত্যাদির মাধ্যমে মাতিয়ে রাখল পুরো দিনটা।
‘ও সোনা ব্যাঙ, ও কোলা ব্যঙ’-এই গানেই নৃত্য দিয়ে শুরু হয় মূল পরিবেশনা। একে একে গান, নাটক আবৃত্তি পরিবেশন করে শিক্ষার্থীরা। হঠাৎ এক ভিন্নধর্মী আয়োজন নিয়ে হাজির হয় শিক্ষার্থীরা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা জুতা আবিষ্কারকে নাটক বানিয়ে মঞ্চে উপস্থাপন করা হল।
রাজা হবুচন্দ্র আর মন্ত্রী গবুচন্দ্রের অভিনয়ে মুগ্ধ শ্রোতারা হারিয়ে গেল অন্য ভুবনে। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে সকলেই শুনতে লাগলো শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা। সবশেষ ‘আয় রে কে যাবি’, ‘আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে’ শিক্ষকদের এই দুটো গান দিয়ে শেষ হয় স্বপ্ননগরের আনন্দ আয়োজন।
প্রকাশক/সম্পাদক :- শাওন আমিন।। ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক :- মোঃ গিয়াস উদ্দিন।। নির্বাহী সম্পাদক :- ঝড় আমীন।। প্রধান কার্যালয় :- হালিশহর, চট্রগ্রাম। মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২০৬১১৬৩ ঢাকা কার্যালয়:-বাসা নং ৫১/৩,ধানমন্ডি ৩/এ, ঢাকা।-১২০৯ মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২৪১৫৮৫৩,+৮৮০১৫৮০৮২০৬৬৩,+৮৮০১৭১২০৬১১৬৩
E-mail :- newszhor@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত. বাংলাদেশ হোস্টিং