শহীদুল ইসলাম শহীদ, পঞ্চগড়।
উত্তরবঙ্গের সম্ভাবনাময় চা শিল্পকে বাঁচাতে একশ কোিিট টাকা প্রণোদনা দাবি করে ৫০ কোটি ক্ষুদ্র চা চাষীদের প্রত্যেক কেজির জন্য পাঁচ টাকা করে, এক কোটি করে জ¦ালানিসহ বিদ্যুতের জন্য ২৮ টি কারখানাকে ২৮ কোটি, চা নার্সারী উৎপাদিত প্রত্যেক চারান জন্য পাঁচ টাকা হিসেবে নার্সারী মালিকদের ১০ কোটি এবং প্রশিক্ষণ, তদারকি ও মনিটরিংয়ের জন্য ১২ কোটি টাকা চা বোর্ডেকে প্রদানের সুপারিশ করেন বক্তারা। এমন টা না করলে ধ্বংসের দ্বারপ্রাপন্ত থেকে চা শিল্পকে উদ্ধার করা কঠিন হবে। তবে এ বছরের জন্য এটা হবে।
পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের হলরুমে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ‘উত্তরবঙ্গের চা শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা’ আঞ্চলিক শীর্ষক সেমিনারে এ সুপারিশ করা হয়েছে। কলেজের অর্থনীতি বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
বিভাগীয় প্রধান রেজাউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. দেলওয়ার হোসেন প্রধান। সেমিনারে মূখ্য আলোচক ছিলেন ইউনেসকোর রিসার্চ ফেলো শামসুল মুক্তাদির। সেমিনারে পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ডের কর্মকর্তা আমির হোসেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন সলিডারিটির মাহমুদ আলম, সরকার মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অব. অধ্যাপক হাসনুর রশীদ বাবু, পঞ্চগড় জেলা বাগান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মানিক খান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জামিল চৌধুরী ডলার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ওই বিভাগের প্রভাষক আজাদ নূর।
বক্তারা চায়ের গুণগত মান বাড়ানোর ওপর এবং কাঁচা চা পাতার মূল্যবৃদ্ধির জোর দাবি জানান। সেমিনারে শিক্ষক শিক্ষার্থী, চা চাষী, বাগান মালিক ও চা সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন