নিজস্ব প্রতিবেদক।। নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জে দীর্ঘদিন যাবত সাধারণ মানুষদের কে নানান ধরনের হয়রানি ও জোর পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে একজন তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধা জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে।

শুধু তাই নয়,সাইফ উদ্দিন নামের একজনকে বিভিন্ন রকমের মামলা হামলা ও সন্ত্রাসী দিয়ে প্রানে মেরে ফেলার চেষ্টা করলে আদালতে বিচারকের রায়ে জেল খেটে বর্তমানে সাময়িক জামিনে মুক্তি পেয়ে হাজির দিচ্ছেন সেই তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধা জয়নাল আবেদিন।

বর্তমানে এই জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হামলার অভিযোগ রয়েছে,বাদী সাইফ উদ্দিন আসামি জয়নাল আবেদিন মামলা নং ১৯১৩/২১, এই মামলায় ২২ দিন জেল খাটে তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধা জয়নাল আবেদিন।
মামলা নং ১৯৯/১৭ চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে ইত্যাদি আরো অনেক মামলা হামলার কথা জানা গেছে।১৯৯/১৭ মিথ্যা মামলা করে কোনো ডকুমেন্টস উপস্থাপন করতে না পেরে বিবাদীর অবর্তমানে দরখাস্ত করে পরে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়।

কোম্পানীগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার খিজির হায়াত খাঁনের সাথে গনমাধ্যম কর্মীরা জয়নাল আবেদিন মুক্তিযুদ্ধা কিনা জানতে চাইলে,
খিজির হায়াত খাঁন বলেন,জয়নাল আবেদিন মুক্তিযুদ্ধা নয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের সাথে ছিল না।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং ২নং চর পার্বতী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম নুরুল হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এই জয়নালের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া এবং তা বাতিলের জন্য লিখিত আবেদন করেন।
কোম্পানীগঞ্জের অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধারা এই তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধা জয়নাল আবেদিনের বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
এই জয়নাল আবেদিন মানুষের জায়গায় জমির মিথ্যা খতিয়ান বা মিথ্যা রেকর্ডের কাগজ দেখিয়ে বহু নিরহ মানুষের জায়গায় জমি দীর্ঘদিন যাবত জোর দখল করে মালিকানা দেখিয়ে দখল করে রেখেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
পূর্বে বহু বার নিরহ মানুষের উপর বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে এই তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধা জয়নাল আবেদিনের।

বিভিন্ন অপরাদের কারণে ১৯৯৮ সাল থেকে এই জয়নাল আবেদীন সমাজচ্যুত হয়ে বর্তমানে এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে পৌরসভায় ভাড়া বাসায় থাকে।

পরিশেষে,কোম্পানীগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধা সংগঠনের মুক্তিযুদ্ধারা ও সাধারণ মানুষের দাবী এই তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধা জয়নাল আবেদিনের মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট ও সকল অনিয়ম এবং অন্যের জায়গা জোর দখল থেকে মুক্তি সহ জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানানো হচ্ছে।