ষ্টাফ রিপোর্টার:-চট্টগ্রামে চোরাইকৃত স্বর্ন ও অন্যান্য মালামাল বিক্রি করে শখ করে কিনেছিল নোহা মাইক্রোবাস কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাদের, অবশেষে পুলিশের জালে আটকা পড়ল নুরুল হক বাবু (৩০) নামের এক চোর চক্রে সদস্য, তার হেফাজতে থাকা নোহা মাইক্রোবাসটিও জব্দ করেছে বলে জানিয়েছেন চান্দগাঁও থানা পুলিশ।থানা সুত্রে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারী রাতে অজ্ঞাতনামা চোরের দল নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক, বি-ব্লক, রোড নং-১, শাখাওয়াত ভিলা, বাসা নং-৪৯১, ৫ম তলার বাসার জানালার গ্রিল কেটে বাসায় প্রবেশ করে নগদ ২২ লাখ টাকা, ১৯ ভরি স্বর্ণালংকার ও ০১টি আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গৃহকর্তা মীর মোহাম্মদ সম্রাট বাবর হোছাইন বাদী হয়ে থানায় একটা মামলা দায়ের করেন।
মামলা রুজু হওয়ার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ছবেদ আলী ও মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই (নিঃ) মুহাম্মদ আলম খাঁনসহ চান্দগাঁও থানার একটি অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে তদন্তে প্রাপ্ত নুরুল হক বাবুকে গত ২৭ফেব্রুয়ারী নগরীর বহদ্দারহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে আদালত হতে হয়। বাবুকে পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বীকার করে যে, মামলার ঘটনায় চুরি করা টাকা, স্বর্ণালংকার বিক্রয় করে ০১টি সাদা রং এর নোহা মাইক্রোবাস ক্রয় করেছে।পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য মতে, অভিযান পরিচালনা করে গত ২ মার্চ চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট বাড়ই পাড়া এলাকা থেকে বিবাদির শনাক্ত মতে চোরাইকৃত মালামাল বিক্রয়ের টাকায় ক্রয় করা নোহা মাইক্রোবাস গাড়ীটি উদ্ধার করা হয়। ধৃত নুরুল হক বাবু এতদসংক্রান্তে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। চান্দগাঁও থানার ওসি জাহেদুল কবির সাংবাদিকদের জানান, আসামি নুরুল হক বাবু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সিঁধেল চোর। তার বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানাসহ নগরের বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়।