এম,সফিউল আজম চৌধুরী :-পুরোপুরি নেভেনি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার ইছানগর এলাকায় এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের গুদামের আগুন। আজ মঙ্গলবার সকালে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় ১৮ ঘণ্টার চেষ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের এর ১৪টি ইউনিটের সঙ্গে কাজ করছে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড ও সেনাবাহিনী টিম।সরজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ওই সুগার মিলে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা গেছে। মিল হতে নির্গত বিষাক্ত পানি কর্ণফুলী নদীতে পড়ে নদীর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, মিলের আশে পাশের দোকানদার ও লোক জনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, গতকাল সোমবার বিকাল ৪টার দিকে কারখানার একটি গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার সময় কারখানাটি চালু ছিল। সেখানে প্রায় সাড়ে ৫০০ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। আগুন লাগার পর কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।তবে তারা দাবী করে বলেন,আসলে কি সুগার মিলে আগুন লেগেছ নাকি অন্যকোন রহস্য লুকিয়ে আছে তা খাতিয়ে দেখার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানান।এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ঘটনাটি তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক ও ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা।গতকাল বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন ইছানগর এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ নামের ওই চিনি কারখানায় আগুন লাগে।এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক বলেন, ‘মিল চালু থাকা অবস্থায় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করার চেষ্টা করছি।তিনি বলেন, ‘গোডাউনে থাকা ব্রাজিল থেকে আমদানি করা এক লাখ টন চিনির কাঁচামাল ছিল। এগুলো রমজানকে সামনে রেখে আমদানি করা হয়েছিল। এখান রিফাইন্ড করে চিনিগুলো মার্কেটে যাওয়ার কথা ছিল।’