নিজস্ব প্রতিবেদক।। চট্টগ্রাম ভারী শিল্প এলাকা থেকে খাগড়াছড়ি দীঘিনালার এক উপজাতি তরুণীর বাচ্চা অপহরণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন। সংগঠনটির চট্টগ্রাম ভারী শিল্প এলাকায় কার্যক্রম রয়েছে৷ পিসিপি, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, শ্রমিক সংগঠনসহ একাধিক সংগঠন চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় দ্বায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে পাহাড়ি পোষাক শ্রমিক এবং চাকরিজীবিদের থেকে চাঁদা উত্তোলন করে আসছে। এই সংগঠনগুলো প্রায়শই চট্টগ্রাম জামালখান, চেরাগি পাহাড় বা প্রেস ক্লাব এলাকায় অবস্থান করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে মিথ্যাচার করে আসছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই তরুণী তার বাচ্চা চুরি ও অপহরণের জন্য একটি আঞ্চলিক সন্ত্রাসী দলকে দায়ী করে কান্না কন্ঠে ভিডিও প্রসব করেছে। ইতোমধ্যে ওই তরুণীর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেট ব্যবহারকারীরা ওই তরুণীর পক্ষ নিয়ে আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের তীব্র সমালোচনা করেছে। নিন্দা বয়ে যাচ্ছে ইউপিডিএফ-জেএসএস’সহ অন্যান্য আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে।
তরুণীর অভিযোগ তার স্বামীর সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। স্বামী একটি আঞ্চলিক সংগঠন দিয়ে জোরপূর্বক গতকাল সোমবার তার কন্যাশিশুটি অপহরণ করিয়েছে। সূত্র বলছে- এই অপহরণের সঙ্গে ইউপিডিএফ সম্পৃক্ত থাকতে পারে। তবে এই বিষয়ে ইউপিডিএফ এর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে তরুণী থেকে চাঁদা চাওয়া হয়। চাঁদা না দিলে বাচ্চা চুরি বা অপহরণ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায়ের হুমকি দেয়া হয়। নির্ধারিত সময়ে চাঁদা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়াই চট্টগ্রামের ভারী শিল্পী এলাকা থেকে বাচ্চাটি অপহরণ শিকার হয় বলে সূত্র দাবি করছে। তরুনী বলেছে তার বাচ্চাকে নেওয়ার সময় তারা নিজেদের আঞ্চলিক সংগঠনের লোক পরিচয় দিয়েছে।
আঞ্চলিক সংগঠনগুলো উপজাতি জাতিসত্তার অধিকার প্রশ্নে সাইনবোর্ড ব্যবহার করলেও স্বজাতির ক্ষতিসাধন ছাড়া লাভজনক কিছু করতে পারছে না। উপজাতি মা-বোনদের নির্যাতন-নিপীড়ন ও ধর্ষণ এবং হত্যা করার মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক সংগঠনগুলো উপজাতি সমাজে এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হানাহানি ও রক্তারক্তি সংঘর্ষের মাধ্যমে পাহাড়কে নরকে পরিণত করেছে।
ভিডিও’র উপজাতি তরুণীর আত্মচিৎকার বলে দেয় কতটা ভয়ঙ্কর উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। যাদের চাঁদার লিপ্সা থেকে নিষ্পাপ বাচ্চাও বাদ যাচ্ছেনা। তারা চাঁদাবাজি করার জন্য নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে। ওই তরুণীও তার স্বামীর সঙ্গে বিরোধ তৈরি করে দিয়েই তরুণীকে ভোগ করতে আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের ভূমিকা রয়েছে বলে জানা গেছে।