এম,সফিউল আজম চৌধুরী:-চট্টগ্রামের কর্নফুলী ইছানগর এলাকার এস,আলম সুপার রিফাইন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের গুদামের আগুন পুড়ে যাওয়া অপরিশোধিত চিনির পানি মিশ্রিত কাঁচা রাসায়নিকের গলিত পোড়া বর্জ্য গুলো কারখানার ড্রেন দিয়ে সোজা গিয়ে পড়ছে কর্ণফুলিতে নদীতে। ফলে কর্ণফুলী নদীর পরিবেশ দূষণ হচ্ছে।সে সাথে নদীর পানিতে বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশছে। তাতে মরে ভেসে উঠছে নদীর বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ।আর অপরিশোধিত চিনি পোড়ার ধোঁয়ায় লোকজনের চোখ মুখ জ্বলছে,বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধও।ফলে শ্বাসকষ্ট রোগীদের চরম অসুবিধা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনির দাহ্য পদার্থ যখন ৩৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকে তখন বিষাক্ত কেমিক্যালে রূপ নেয়।তাতে পানি দেয়া হলে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন কার্বন সৃষ্টি হয়। ফলে কারখানায় আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। সেই আগুনে পানি দেয়াই অপরিশোধিত চিনি গলে তৈরী হওয়া লাভা নদীতে এসে পড়েছে যার কারনে পানি দূষিত হয়ে মরছে মাছ। মরা মাছ খেলে মরনব্যাধি বিভিন্ন রকম রোগ হতে পারে বলে তারাঁ মনে করেন।
আজ বেলা ১২টায় সরজমিনে পরির্দশনে গেলে দেখা যায়,পানি মিশ্রিত চিনির কাঁচা রাসায়নিকের গলিত পোড়া বর্জ্য (লাভা)গুলো কারখানার ড্রেন দিয়ে সোজা গিয়ে পড়ছে কর্ণফুলিতে নদীতে, পানি দূষিত হচ্ছে। এতে মারা যাচ্ছে নদীর বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ।দেখা যায়,কর্নফুলী নদী হতে স্থানীয় লোকজন হাত দিয়ে টেংরা, পোয়া ও চিংড়িসহ ভেসে ওঠা বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ ধরছেন।অনেক হাত জাল ফেলেও মাছ ধরছেন। প্রায় ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এভাবে মাছ ধরতে দেখা গেছ।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনির দাহ্য পদার্থ যখন ৩৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকে তখন বিষাক্ত কেমিক্যালে রূপ নেয়। আর সেখানে পানি ছাড়া হলে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন কার্বন তৈরি হয়। যার কারণে কারখানায় আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। সেই আগুনে অপরিশোধিত চিনি গলে এর লাভা নদীতে এসে পড়েছে। এতেই পানি দূষিত হয়ে মাছ মরছে। চিনির কেমিক্যালে নদী দূষণ তো হয়েছেই; এছাড়া নদী দূষণের অন্যতম কারণ হলো ১৭টি খালের বর্জ্য ওই নদীতে এসে পড়ছে।তাঁরা বলেন,একটা শিল্প কারখানা গড়ে তোলার আগে নানা বিষয় মাথায় রেখে কাজ করতে হয়। কিন্তু এস,আলম সুগার মিল কতৃপক্ষ গুদামে যে ধরনের আগুন নেভানোর ব্যবস্থাপনা দরকার তার সিকি ভাগ ও ব্যবস্হা করেন। বর্জ্য পন্য ডাম্পিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রাখেনি।ফলে কারখানা থেকে পোড়া বর্জ্য পড়ছে সরাসরি কর্ণফুলী নদীতে। যার কারনে পোড়া ব্যর্জ নদীতে গিয়ে নদীর পানি দূষিত করতেছে। ক্ষতি হচ্ছে মৎস্য সম্পদ ও জীব-বৈচিত্র্য। হয়তঃ পুড়ে যাওয়া সম্পদের ক্ষতি একসময় পোষাতে পারবে। পরিবেশের যে ক্ষতি হচ্ছে তা আর পূরণ হবে না। এ জন্য দায়ী পরিবেশ অধিদপ্তবলেনর ও অন্যান্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।এদিকে আজ এস আলম চিনি কারখানার রাসায়নিক পদার্থ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে পানি দূষণ ও জৈব বৈচিত্র ধ্বংসের প্রতিবাদে জনগণের প্রতিবাদ মঞ্চ ও অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছে,ইছানগরের বাংলাবাজার ঘাটা এলাকায চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন,বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা,কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাধি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন,বাংলাদেশ পরিবেশ জোয়ান আর কে এস ফাউন্ডেশন এতে বিপুল সংখ্যক মানুষ যোগ দেন।
প্রকাশক/সম্পাদক :- শাওন আমিন।। ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক :- মোঃ গিয়াস উদ্দিন।। নির্বাহী সম্পাদক :- ঝড় আমীন।। প্রধান কার্যালয় :- হালিশহর, চট্রগ্রাম। মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২০৬১১৬৩ ঢাকা কার্যালয়:-বাসা নং ৫১/৩,ধানমন্ডি ৩/এ, ঢাকা।-১২০৯ মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২৪১৫৮৫৩,+৮৮০১৫৮০৮২০৬৬৩,+৮৮০১৭১২০৬১১৬৩
E-mail :- newszhor@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত. বাংলাদেশ হোস্টিং