মতিউর রহমান শাহ চিশতী।। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নিরীহ ব্যবসায়ী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ চন্দ্র রায়, মাধবদী বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছে বিচার চাইলে, জিয়া মোল্লা তার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে শায়েস্তা করেন এবং তাকে ভারত চলে যাওয়ার হুমকি দেন।
জানা যায়, জিয়া মোল্লা মাধবদী, নুরালাপুর, কাঠালিয়া, মহিশাশুড়া, আড়াই হাজারসহ শত শত মানুষকে মালয়েশিয়ায় পাচার করেছেন, যার ফলে একাধিক ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে মাধবদী থানা ও ঢাকা সহ আদালতে একাধিক মানব পাচারের মামলা রয়েছে।
মানব পাচারের অবৈধ অর্থ দিয়ে তিনি কমিউনিটি সেন্টার, ঢাকায় মার্কেট, বাড়ি-গাড়ি, এবং মাধবদীতে ১৬ তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। এছাড়া, তিনি একাধিক সংখ্যালঘুর কাছ থেকে ফ্ল্যাট ও জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
জিয়া মোল্লা আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত এবং আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে মেয়র মানিক ও নজরুল ইসলাম বাবু এমপির সেল্টারে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছেন। তিনি নজরুল ইসলাম বাবুকে প্রধান অতিথি করে অনুষ্ঠানও করেছেন। মাধবদীর বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে রেখেছেন। তার বিরুদ্ধে বৈষম্য, ছাত্র আন্দোলন দমন, ছাত্রদের নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টা, এবং অর্থ খরচ করে ছাত্রদের পিটানোর অভিযোগ রয়েছে।
উপরোক্ত অভিযোগ সমূহের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য মাধবদী থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের মতে, জিয়া মোল্লার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো তদন্তাধীন রয়েছে, এবং আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোও জিয়া মোল্লার কর্মকাণ্ডের উপর নজরদারি করছে এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তা প্রদান করছে। তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
জিয়া মোল্লার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগসমূহের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।