ফজলার রহমান গাইবান্ধা থেকে ঃ ষড়যন্ত্রকারীদের
সকল প্রকার অপপ্রচারকে গুড়িয়ে দেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা: মঈনুল হাসান সাদিকের নেতৃত্বাধীন দলের দূূর্দিনে প্রথমসারির ত্যাগী ও পরীক্ষিত সৈনিকেরা।

জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পলাশবাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব বিষয় উঠে আসে।

তিনি বলেন, বাঙালি জাতির এক চরম ক্রান্তিলগ্নে
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব হয়েছিল অসীম সাহসিকতা ও প্রজ্ঞা নিয়ে। সেদিন চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তাঁর স্বাধীনতার ঘোষণা জাতিকে উজ্জীবিত করেছিল, একত্রিত করেছিল অভীষ্ট এক লক্ষ্যে।

আমরা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ শহীদ জিয়ার সেই আদর্শ বুকে ধারণ করে সেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে অবিচলভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

দু:খ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দীর্ঘ এ চলার পথ কখনো মসৃণ ছিল না। ষড়যন্ত্রকারীদের আঘাতে বারবার ক্ষতবিক্ষত হতে হয়েছে। বিগত মেয়র নির্বাচন ও দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে আমাদের সফলতায় ঈর্ষান্নিত হয়ে এক শ্রেণীর মানুষ পর্দ্দার আড়াল থেকে গাইবান্ধা জেলা বিএনপি,পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির প্রথম সারির নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, কমিটি বাণিজ্য,জমি দখল, চাঁদাবাজি, নারী কেলেংকারীর অভিযোগ কখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আবার কখনো সংবাদ সম্মেলন করে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেক আইডি দিয়ে গোটা গাইবান্ধা জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকসহ সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়েছে। তবে এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই জানিয়ে প্রতিটি অভিযোগ ও অপপ্রচারের কঠোর প্রতিবাদ জানিয়ে একাধিক বিবৃতি দিয়েছেন দলের নেতারা।

অপপ্রচারের ধারাবাহিক বর্ণনা দিতে গিয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, সম্প্রতি গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা: মঈনুল হাসান সাদিক এর বিরুদ্ধে কমিটি বানিজ্যসহ দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের জরিত থাকার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড: হামিদুল হক ছানা।
তার অভিযোগের ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন ডা: সাদিক। সেই সাথে তৃন্নমূল কর্মীরা তার প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দেন বিগত লড়াই-সংগ্রামে আপনি কোথায় ছিলেন?

এদিকে, অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ এনে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পলাশবাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক সেনা সদস্য ও একজন ব্যবসায়ী।

উক্ত অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে দাবি করে এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি প্রদান করেছেন তিনি।

অপরদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস ছামাদ মন্ডলের বিরুদ্ধে আওয়ামিলীগ নেত্রীকে উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি করা সংক্রান্ত একটি ভিডিও যমুনা টিভিতে প্রচারিত হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।এরপর তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা বিএনপি।যা চলমান। এ বিষয়ে উপজেলা সভাপতির দাবি তার বক্তব্য এডিট করে প্রচার করা হইছে।

এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ফেক আইডি থেকে পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবু আলা মওদুদ এর একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যাহা সম্পুর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন আবু আলা মওদুদ।

একইভাবে পলাশবাড়ী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশফেকুর রহমান রিপন,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোত্তালেব সরকার বকুলদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিকল্পিত ভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

ধারাবাহিকভাবে এসব অপপ্রচার চালানোর কারণে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ জনগনের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা প্রতিবাদও জানাচ্ছেন।

এসব ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আবুল কালাম বলেন, বিগত ১৭ বছর মামলা হামলা জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার প্রথম সারির এসব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে একটি বিশেষ মহল তাদের স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য ওঠে পড়ে লেগেছে। এসব করে তাদের অভীষ্ট লক্ষচ্যুতি ঘটানো যাবে না। বরং জনগণকে সাথে নিয়ে সম্মিলিত ভাবে তাদের রুখে দেওয়া হবে।

এ ব্যপারে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা: মঈনুল হাসান সাদিক বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের দোষররা জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই গাইবান্ধায় জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। আমরা অতীতের ধারাবাহিকতায় ষড়যন্ত্রকারীদের সকল প্রকার অপপ্রচারকে গুড়িয়ে দেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাবো।