1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
রুহিয়ার ঐতিহ্যবাহী ডাকবাংলোটি’র বেহাল দশা- জরুরী সংস্কারের দাবি শহীদ জিয়ার ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে পঞ্চগড়ে জিয়া পরিষদের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল গুমের সাথে জড়িতদের বিচার ও ৫ দফা দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অধিকার এর মানববন্ধন পঞ্চগড়ে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত পঞ্চগড়ের এনডিসি পেলেন তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা রাণীশংকৈলে কোরবানির বাজার কাঁপাতে প্রস্তুত ২০ মণ ওজনের ‘কালা বাবু’ জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে পঞ্চগড়ে এতিমখানায় পুষ্টিকর খাবার বিতরণ মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে যুবদল নেতার সংবাদ সম্মেলন! ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ আটোয়ারীতে এসএসসির ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষায় শিক্ষকদের লাখ লাখ টাকা আয়

বাসযোগ্য কারাগার নিশ্চিত করে বন্দিদের মানবিক জীবন নিশ্চিত করতে হবে —– চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

এম,সফিউল আজম চৌধুরী :চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,কারাগারে থাকা বন্দিদের মানবিক জীবন নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে।তিনি বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারি নগরীর জেল রোডস্থ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েদিদের মাঝে পোষাক, ঔষধসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ কালে এই আহ্বান জানান। সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং ডেপুটি জেলার ইব্রাহীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কয়েদিদের শোচনীয় অবস্থা সম্পর্কে মেয়র বলেন, কারাগারে কয়েদিদের অতিরিক্ত চাপ। আমি দেখেছি প্রতিটি রুমে কয়েদিদের থাকার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা থাকে না। ৩০-৪০ জনের জায়গায় ১০০ জন রাখা হয়। এটা বড়ই অমানবিক। কয়েদিদের নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকার জায়গা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এছাড়া, গায়েবী মামলায় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের কারণে কারাগারের চাপ আরও বেড়ে যায় ফলে বন্দীদের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার সংকট সৃষ্টি হয়। কারাগারে কয়েদিদের তুলনায় বাথরুমের সংখ্যা অত্যন্ত কম। এতে করে বন্দীদের নানা ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এটি অত্যন্ত অমানবিক অবস্থা। বন্দীদের ন্যূনতম মৌলিক অধিকার ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা জরুরি।তিনি বলেন,“কাসিমপুর কারাগারে দেখেছি ফুটবল খেলার মাঠ আছে, কলা গাছ, কাঠাল গাছ আছে এগুলোর ফল কয়েদিরা খায়। চট্টগ্রামে কারাগার সুপ্রশস্ত না হওয়ায় আনোয়ারা, সীতাকুণ্ড বা মিরসরাইয়ের মতো এলাকায় কয়েদিদের জন্য খেলার মাঠ, বাগান ও পর্যাপ্ত মুক্ত জায়গা থাকবে এমন নতুন কারাগার গড়ে তোলার বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।বন্দীদের স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক সহায়তার সম্পর্কে মেয়র বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে সবকিছু। কায়েদিদের জন্য একজন ডাক্তারের পাশাপাশি একজন সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। কারণ এখানে আত্মহত্যার অনেক ঘটনা হয়েছে। যখন একজন কয়েদি এখানে ঢুকে সে যখন হয়তোবা দোষী না এতে করে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কাজেই আমার মনে একজন সাইকোলজিস্ট থাকলে কয়েদিদের মানসিক সাপোর্ট দেওয়া সম্ভব হবে। কারাগারে মানসম্মত ওষুধের অভাব রয়েছে। আমি দেখেছি অনেক সময় এই নিন্মমানের ওষুধ ব্যবহারের কারণে রোগীরা সুস্থ হচ্ছে না বরং এলার্জির মত চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। সেজন্য মানসম্মত ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।“আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, প্রতিটি বন্দিকে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবিক সেবা প্রদান করা, যাতে তারা সমাজে পুনরায় ফিরে এসে একটি সুন্দর জীবন শুরু করতে পারে। আমি মনে করি, কারাগারগুলোতে শারীরিক সুস্থতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া খুব জরুরি এবং এর জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত পরিবেশ, যেমন খেলাধুলার জায়গা, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং সুযোগ সুবিধা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং