1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলার সকল সাংবাদিকদেরকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন লুৎফর রহমান মিঠু পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২২ নং সেনুয়া ইউনিয়নবাসী সহ দেশবাসী ‘কে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চেয়ারম্যান মতিউর পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জনতার মেয়র শরিফুল ইসলাম শরীফ ঠাকুরগাঁও পৌর বাসী’কে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কুরবানির আদর্শে মানবতা ও পরিচ্ছন্নতার শিক্ষা কুরবানিতে আমাদের করণীয় পাবনার চাটমোহরে অভিভাকদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করলেন বিএনপি নেতা তাইজুল ইতিহাস গড়লেন পাবনার চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৬৮ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করে গোবিন্দগঞ্জের তালুককানুপুরে সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে চাল বিতরণ বানিজ্য উপদেষ্টার আগমন উপলক্ষে পলাশবাড়ীতে প্রস্তুতি পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মির্জা ফয়সল আমীন ঠাকুরগাঁও জেলা বাসী’কে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রিপন ও বকুলের নেতৃত্বে শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি বৈধ দাবী করেছে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন

সন্তান হত্যার বিচার আজও পায়নি  ঠাকুরগাঁও গড়েয়ার ৬ শহিদের পরিবার

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫
  • ১৪৭ বার পড়া হয়েছে

মাজেদুর রহমান, গড়েয়া প্রতিনিধিঃসন্তান হত্যার বিচার আজও পায়নি ঠাকুরগাঁও গড়েয়ার ৬ শহিদের পরিবার২০১৩ সালের ২৮ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক ৩ টায় দেলোয়ার হোসেইনসাঈদীকে ফাঁসির রায় ঘোষণার পর বিক্ষুব্ধজনতার মিছিলে মিছিলে কম্পিত হতে থাকে ঠাকুরগাঁওয়ের গড়েয়ার মাটি।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নামে পুলিশ ও বিজিবি রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে সাধারণ জনগনের উপর এতে জনগণ আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং ইট পাটকেল মারতে থাকলে ঘটনাস্থলে আরও বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এসময় উত্তেজিত জনতার উপর পুলিশ ও বিজিবি নির্বিচারে ব্রাশফায়ার শুরু করে প্রায় ২ঘণ্টা ব্যাপী চলা সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ ও বিজিবি পিছু হটতে বাধ্য হয়।পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে এলাকার বিভিন্নস্থানে পড়ে থাকা নিহতদের লাশ ও আহতদের উদ্ধার করে গ্রামবাসী।

সেই দিন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়ায় ৬ জন নিহত হয়, তাদের রক্তে ভিজে লাল হয় গড়েয়ার মাটি চারিদিক থেকে ভেসে আসে সন্তান হারনোর কান্না শব্দ পুলিশ ও বিজিবির ছোঁড়া গুলিতে বাড়ির রান্না ঘরে বসে থাকা মহিলা, ক্ষেতে কাজ করাকৃষক, রাস্তার ভ্যানচালক সহ গুলিবিদ্ধ হয় অন্তত ২০ জন এছাড়াও অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন।

আওয়ামী দুঃশাসনের ধারক ও বাহকপুলিশও বিজিবির নির্বিচারে গুলিতে নির্মম গণ হত্যার শিকার হন ফিরোজ(২৫) পিতা- রবিউল ইসলাম, রুবেল(১২) পিতা রুহুল ইসলাম, দাইমুল(১৪) পিতা-মঈনুদ্দীন,দুলাল ইসলাম(১৯)পিতা-রফিকুল ইসলামসকলের সাং-চোঙ্গা খাতা,মনির(১৭) পিতা-শুকুরু সাং-গড়েয়া গোপালপুর সকলের থানা ও জেলা ঠাকুরগাঁও,নিরঞ্জন মিঠুন(১৮)পিতা – নিতাই পাল,সাং-পালপাড়া,থানা-বীরগঞ্জ জেলা- দিনাজপুর।

এছাড়াও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতরা হলেন, বিপ্লব (১৮)পিতা-আনার উদ্দিন,আমিনুর রহমান (৪৯) পিতা-মৃত আমির উদ্দীন, জেসি আক্তার (১৯)স্বামী-শাহীন সকলের সাং আরাজি ঢাঙ্গী।সেজান মাহমুদ(২৪) পিতা-গোলাম মোস্তফা,সাং-গড়েয়া গোপালপুর সকলের থানা ও জেলা ঠাকুরগাঁও।মোস্তাফিজুর রহমান (১৮)পিতা – বেলাল হোসেন সাং-বৈরবাড়ী,সুমন ইসলাম (২৫)পিতা-তৈয়বুর রহমান সাং-পলাশবাড়ী উভয়ের থানা বীরগঞ্জ ও জেলা দিনাজপুর সহ আরো অনেকে গুলিতে গুরুতর আহত হন।

এ বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়েয়ায় ১৬৫০ জন নিরীহ জন সাধারনকে আসামি করে আওয়ামী সরকারের পক্ষ থেকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করা হয়।

এলাকাবাসী জানান,প্রশাসনকে ভুলবুঝিয়ে একটি বিশেষ দলের কিছু অতিউৎসাহী নেতাদের উস্কানীর কারণে ২৮শে ফেব্রুয়ারী এধরনের একটি ঘটনা সংগঠিত হয়।পুলিশ ও বিজিবিকে বলা হয় ২৮শে ফেব্রুয়ারী গড়েয়া হাটে দোকানপাট ভাংচুর লুটপাট  , ব্যাংক- বীমা অফিসে লুটপাট, ইউনিয়ন পরিষদ ও স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক ভাংচুর, এনজিওতে অগ্নি সংযোগ এর মত ঘটনা ঘটেছে এবং গড়েয়ায় হামলা করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হচ্ছে বলে মিথ্যা উস্কানী মূলক তথ্য দেওয়া হয়। আসলে তেমন কোন ঘটনাই এখানে ঘটেনি। সেই দিন দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর রায়ের আগেই গড়েয়া হাটের সকল দোকান পাট বন্ধ ছিলো।সংবাদ কর্মীরা গড়েয়া হাটে দোকানপাট ভাংচুর লুটপাট, ব্যাংক- বীমা অফিসে লুট পাট, এনজিওতে অগ্নি সংযোগ এর তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে গেলে,গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের বাইরের রাস্তার পাশে জানালার ও স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকের দুই টি জানালার গ্লাস ভাঙ্গা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান২৮শে ফেব্রুয়ারী যে গণহত্যা হয়েছে তার মূল উষ্কানি দাতা জেলা, সদর উপজেলা ও গড়েয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের কয়েকজন নেতা কর্মীর কারণে হয়েছে।

এ বিষয়ে মৃত দুলালের পিতা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও,বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ২৫/৩০ জন পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যের নামে গত ০২৮,০৫,২০১৩ সালে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর আদেশ দিয়া প্রকৃত অপরাধীদের ধৃত করাইয়া জেল হাজতে আটক রাখিয়া মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্ত সহ সু- বিচারের প্রার্থনা করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং