শহীদুল ইসলাম শহীদ, পঞ্চগড়।।সারাদেশে কারাগারে পরিণত করেছিলো স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী দের মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। অনেকেই ছিলেন আত্মগোপনে।পরিবার পরিজনের সাথে দেখাটাও করতে পারেনি নেতাকর্মীরা।
সব জায়গায় দলীয়করণের ফলে পদে পদে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের পেটুয়া বাহিনী দিয়ে বেধরড়ক মারপিট করে আবার উল্টো মামলা দেয়া হতো। গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনে মুখে বাধ্য হয়ে স্বৈরাচারী সরকার প্রধান শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। দেশের মানুষ ন্যায় বিচার যেন পায় সেজন্য আদালতগুলোতে সংস্কার করা হয় । তারই ধারাবাহিকতায় সেদিনের বিএনপির কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে যে মিথ্যে মামলা দেয়া হয়েছিল সে মামলার আসামি ছিলেন বর্তমান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আদম সুফিসহ দলীয় নেতারা। বৃহস্পতিবার বিকালে নিজ কার্যলয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর দলীয় কর্মসূচীতে অংশ নিতে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আমরা অবস্থান করি। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বাহিনী পুলিশ বাঁধা দেয়, টিয়ারশ্যাল ছোড়ে, রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে বিএনপি নেতা আরেফীনকে অকালে প্রাণ দিতে হয়। এছাড়া জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাবু সহ অনেকে গুরুতর জখম হন। পরে পুলিশ আমাদের ২২ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ অজ্ঞাত আরো ১১০০ থেকে ১২০০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। আমরা আদালতে গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে ঘুরে মিথ্যা মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছি। বুধবার দুপুরে আমলী আদালত-১ এর বিচারক ও অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম পুলিশি প্রতিবেদন ও মামলার নথি পর্যালোচনা করে এই মিথ্যা মামলা থেকে আমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আদালত এখন স্বাধীন। মানুষ ন্যায় বিচার পেতে শুরু করেছে। এসময় অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ইয়াছিনুল হক দুলাল, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এই মামলায় বাংলাবান্ধা থেকে সোনাহার, রতনীবাড়ী থেকে আলোয়াখোয় পর্যন্ত বিএনপি নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার করে হাজতে পাঠায়। পুলিশ গ্রেপ্তার বাণিজ্য করে। অনেকেই বিনা কারণে শুধু বিএনপির রাজনীতি করার কারণে জেলে যেতে হয়েছে। বছরের পর বছর আদালতে ঘুরতে হয়েছে।