ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী ইউনিয়নে "নতুন পাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা" নামে একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই চক্রটি সরকারি সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধার অপব্যবহার করে জাল কাগজপত্র তৈরি করে প্রায় ৫০০ মিটারের মধ্যে হুবহু একই নামে আরেকটি মাদ্রাসার অস্তিত্ব তৈরি করেছে।
ভুয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিসি অফিসের সামনে গ্রামবাসীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার, দুদক কার্যালয় ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
আজ বুধবার ১৯ মার্চ অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানটি
একটি চক্র তড়িঘড়ি করে ফসলি জমি পুকুর খনন করে পাশে মাটি ভরাট করে স্থাপনা তৈরি করছে।
জানা যায়, ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত "নতুন পাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা" ১৯৯৯ সালে দাখিল পর্যন্ত একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। পরবর্তীতে, ২০০২ সালে ইবতেদায়ী ও দাখিল শাখা একত্রিত হয়ে এমপিওভুক্ত হয়। অথচ, পূর্বের "নতুন পাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা" দাখিল মাদ্রাসার সাথে একীভূত হওয়ার পরেও, এই চক্রটি জাল কাগজপত্র তৈরি করে প্রায় ৫০০ মিটারের মধ্যে হুবহু একই নামে আরেকটি মাদ্রাসার অস্তিত্ব তৈরি করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম, মনসুর আলী স্বপন, আমির হোসেন অভিযোগ করে বলেন , ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণার সুযোগ নিয়ে একটি অসাধু চক্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে একই এলাকায় "নতুন পাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা" নামে আরেকটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। এই ভুয়া মাদ্রাসার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই, নেই কোনো শিক্ষার্থী, শিক্ষক বা নির্ধারিত স্থান।
স্থানীয়রা আরও জানান, এই ভুয়া মাদ্রাসাটির অস্তিত্ব রক্ষায় ভেকু দিয়ে বোরো জমিতে মাটি খনন করছে চক্রটি। জমিতে লাগানো আমন গাছ তুলে ফেলা হচ্ছে।
বেলাল হোসেন নামে স্থানীয় আরেক ব্যক্তি বলেন,
নতুনপাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নামে এই এলাকায় কোন প্রতিষ্ঠান এর আগে কোনদিনও ছিল না।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো.শাহীন আকতার বলেন,
নতুনপাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী নামে কোন প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে গিয়ে পাওয়া যায়নি। সেখানে শুধু ফসলিমাঠ। যে ব্যক্তি জমি তিনি জানান, তার স্ত্রী ও তাকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এ জমিটা মাদ্রাসার জমি হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে এখনো নামে জমিটির রেজিস্ট্রি দেননি তারা।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের কাছে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রতিষ্ঠানটিকে ভুয়া ঘোষণা করে জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
প্রকাশক/সম্পাদক :- শাওন আমিন।। ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক :- মোঃ গিয়াস উদ্দিন।। নির্বাহী সম্পাদক :- ঝড় আমীন।। প্রধান কার্যালয় :- হালিশহর, চট্রগ্রাম। মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২০৬১১৬৩ ঢাকা কার্যালয়:-বাসা নং ৫১/৩,ধানমন্ডি ৩/এ, ঢাকা।-১২০৯ মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২৪১৫৮৫৩,+৮৮০১৫৮০৮২০৬৬৩,+৮৮০১৭১২০৬১১৬৩
E-mail :- newszhor@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত. বাংলাদেশ হোস্টিং